বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় অতিরিক্ত বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে জোয়ারে স্রোতে সাউথখালী অংশের বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে দু’ গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
২০০৭ সালে প্রলঙ্করী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বাগরহাট অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মানুষের সব থেকে জানমালের ক্ষতি হয়। এর পর থেকে ঝড় ও জলচ্ছাস থেকে বাঁচতে দুই উপজেলাবাসীর একটাই দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।
শুক্রবার সাউথখালি ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর পাড়ের গাবতলা-বগী গ্রাম সংলগ্ন বাঁধের ৪০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান উপকূলীয় বাঁধ নির্মান প্রকল্পের (সিইআইপি) কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ভেঙে যাওয়া স্থানে জরুরি ভিত্তিতে একটি রিং বেড়িবাঁধ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
রোববার সকালে শরণখোলার ভাঙ্গন কবলিত স্থানে পরিদর্শনে যান বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএমদাদুল হক, শরণখোলা আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম খোকন, আজমল হোসেন মুক্তা, রায়েন্দা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, আ.হক হায়দার, চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন ও মোড়েলগঞ্জ যুবলীগ নেতা এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ প্রমুখ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ হোসেন বাগেরহাট জানান, ৬২কিলোমিটার টেকসই বাঁধের ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাদ বাকি কাজ জমি অধিগ্রহনের সমস্যা মিটে গেলে দ্রুত শুরু করা হবে। বিশ্ব ব্যাংকে প্রস্তাবনা পাঠানোর পর নদী শাসনের বিষয়টিও সমাধানের পথে। ভাঙন এলাকা থেকে যাতে জোয়ারের পানি ঢুকতে না পারে সেজন্য জরুরী রিংবাঁধ দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট-৪(শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি। তাকে এলাকাটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার পর নদী শাসনের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি শিগগিরই ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন।