বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে নির্বাচনের ২ দিন আগে থেকে ৯ প্লাটুন বিজিবি ও প্রতি ভোট কেন্দ্রে ১ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এবং সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নে উত্তরে বলেন, বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে দলীয়ভাবে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর কর্মীবাহিনী ও তার আত্মীয়দের অব্যাহত মটর সাইকেল মহড়া এবং আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় নির্বাচনে গণসংযোগ করতে পারছিনা। আমার বসতবাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে না পেয়ে আমার বৃদ্ধা মাতা ও বোনদের গালিগালাজ করে আসছে। আমার নির্বাচনী প্রচারণা মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গেলে পথিমথ্যে আমাকে অপমানসহ কর্মীদের মারপিট করা হচ্ছে। যার প্রতিটি ঘটনার ভিডিও চিত্র রয়েছে। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও তিনি নির্বিকার। কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এরপরও পৌরবাসীর আস্থা নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে রয়েছি। কারণ আমার পিতা এ পৌরসভার ৪ বার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশায় আমি প্রার্থী হয়েছি। অথচ, ক্ষমতাসিন দলীয় প্রার্থীর কর্মীদের ভয়ে শহরের একটি রিকসাও আমার মাইক নিয়ে প্রচারে যাচ্ছেনা। অপরদিকে, নির্বাচনে এককভাবে ভোট নিতে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী দলীয়ভাবে প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দিন শেষ হলেও আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে এক একজন রেখে বাকীদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য করছে। ফলে, বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচন আর উৎসব মুখর হচ্ছে না। তাই ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটের ২ দিন আগে থেকে বাগেরহাটে ৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করাসহ প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার দাবি জানাচ্ছি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমসহ বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোল্লা সুজাউদ্দিন সুজন উপস্থিত ছিলেন।
অপমান ও হয়রানির ভয়ে দলের অন্যান্য নেতারা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম সাংবাদিক জানান। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রচার পেয়েছে ইভিএমএ ভোটাররা আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার পর প্রতীকে ভোট তিনি দিতে পারবেন না। ভোট দিবেন নৌকা প্রতীকের কর্মীরা। কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট দিতে পারবো কি না তা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।