যান্ত্রিকীকরণের কারণে দিনদিন কৃষকের অবস্থার অবনতি ঘটছে। হালের গরু নেই! তাই বয়োবৃদ্ধ বাবা আর ছেলেই চাষের জমিতে মই দিচ্ছেন। এ কাজ এক সময় হালের বলদ দিয়ে করা হতো।
কনকনে শীতের সকালে কাজ করছেন বাবা হরিদাস চন্দ্র সরকার ও তার ছেলে পরিতোষ চন্দ্র সরকার। বুধবার এ দৃশ্য দেখা গেল ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের সিংরাউন্দ গ্রামে।
এ গ্রামের মৃত হরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের পুত্র হরিদাস চন্দ্র সরকার জানান, তার ১০-১২ কাঠা চাষযোগ্য জমি রয়েছে। এবারের ইরি-বোরো মৌসুমে এক একর জমিতে ধানের চারা রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। মেশিন দিয়ে জমিচাষ করেছেন। গোয়ালে এখন আর গরু নেই। তাই বাবা ছেলে মিলেই মই দিচ্ছেন।
৭৩ বছরে পা দিয়েছেন হরিদাস চন্দ্র সরকার। এক ছেলে আর এক মেয়ের জনক। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ধান বিক্রি করে এখন জমি কিনতে পারেন না। গোয়ালে গরুও নেই!
পরিতোষ চন্দ্র সরকার দুই মেয়ে আর এক ছেলের জনক। তিনি জানান, বাবা স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করতে এসেছেন। শ্রমিক পাওয়া যায় না, মজুরিও বেশি, উৎপাদনের সঙ্গে ব্যয়ের মিল নেই! তাই ইচ্ছা না থাকলেও বাবা-ছেলে মিলেই জীবনটা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।