কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতিবছর মানুষ বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়তি চাপের বোঝা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির পরও দাম বাড়ছে খাদ্যের।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, বিপণন, বাজারজাতকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়তি খরচ। অন্যদিকে, ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ কৃষক ও ক্রেতা উভয়েরই।
৩৩ জেলার উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বে ৩৩ শতাংশ ফসল উৎপাদন করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। সেখানে বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ ফসলই ফলায় প্রান্তিক কৃষক। কৃষির আধুনিকায়নে দেশের খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। তারপরও দাম বাড়ছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, এক কেজি পেয়ারার উৎপাদন খরচ ত্রিশ টাকা হলে বিক্রি হয় সর্বোচ্চ চল্লিশ টাকা। অন্যদিকে বিদেশি ফলের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি।
একজন নারী উদ্যোক্তা বলেন, কোনো ব্যাংক সরাসরি কৃষকদের ঋণ দিতে চান না। এখন কিছুটা এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে নারী উদ্যোক্তাদের অনেক রকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সরাসরি ঋণ পেলে উপকার হত। আবার নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। কিন্তু যে অনুপাতে ক্রেতারা দাম দিতে চান না।
এ অবস্থায় কৃষি ঋণ ও বিপণন নিয়ে সরাসরি কাজ করতে এগিয়ে এসেছে ইউসিবি ব্যাংক ও বিসেফ ফাউন্ডেশন। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত জামিল বলেন, ব্যাংকগুলো ঝুঁকি মনে করে কৃষকদের সরাসরি ঋণ না দিয়ে এনজিও’র মাধ্যমে দেয়। তবে, এখন থেকে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক সরাসরি কৃষকের সঙ্গে কাজ করবে।
আর কৃষিমন্ত্রী জানালেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে মন্ত্রণালয়ে আলাদা সেল চালু করা হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারাদেশে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি হিন্দুদের ওপর হামলা লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে ২৮ হাজার কোটি টাকা কৃষিখাতে ব্যয় করবে সরকার। আর কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করবে ৩ হাজার কোটি টাকা।