রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বায়োপসির রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন চিকিৎসকরা। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড রিপোর্ট বিশ্লেষণ করেছে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বায়োপসির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। মেডিক্যাল বোর্ড সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে বেসিক আলাপ করে ফেলেছেন। সে অনুযায়ী নতুন কায়দায় চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।’
তবে এ মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন বলে জানান তার এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক। খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতেই তার বায়োপসি রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
গত ২৫ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে লাম্প ধরা পড়ায় তার বায়োপসি করা হয়। সেদিনই সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার এই চিকিৎসক এবং দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বায়োপসির ফলাফল জানতে সময় লাগবে। এ জন্য তিনদিন এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে ১৫ দিন সময়ও লাগতে পারে।
বায়োপসির ফলাফল সাপেক্ষে চিকিৎসা পরবর্তী সিদ্বান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। আরও বলা হয়, খালেদা জিয়া যে ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, সে সব নিরাময়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে।
তারা জানান, নতুন করে খালেদার কিডনি সমস্যা বেড়েছে; রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিও রয়েছে। এর মধ্যে আবার থেমে থেমে জ্বর আসায় একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকেই হাসপাতালটিতে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল প্রথমবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এর ছয়দিন পরে ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
পরে অবস্থার উন্নতি হলে এক মাস পর গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর গত ১৯ জুন তাকে বাসায় আনা হয়। তারপর থেকে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তিনি।