চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অফিসই গুজবের ফ্যাক্টরি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে বসে বসে প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে একদিকে অপপ্রচার ও অন্যদিকে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। গণপিটুনি, গুজবের পিছনেও এই দলটির হাত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৫ বছরপূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে, আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এই আতঙ্ক ছড়ানোর সঙ্গে দেশের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না এবং এদের কর্মকান্ড ও অপপ্রচারের মধ্যে যোগসূত্র আছে কি না তা আমাদেরকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আর একটি প্রতিষ্ঠান, তারা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তাদের নেত্রীর জন্য হা-হুতাশ করছে। তাদের নেত্রীর শারীরিক অবস্থা যতটা না খারাপ তার চেয়ে বেশি তারা অপপ্রচার করছে। সেটা নিয়ে রাজনীতি করছে। আজ এই দলের কেন্দ্রীয় অফিসই হচ্ছে গুজবের একটা বিরাট ফ্যাক্টরি। সেখান থেকে বসে বসে প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে একদিকে তারা অপপ্রচার করছে, অন্যদিকে নানা গুজব রটাচ্ছে।
আজকে দেশে বন্যা ও ডেঙ্গুর মতো আপদ আছে, সেটা সরকার হিসাবে আমাদের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা কিন্তু এখানেও নিস্ক্রিয় নেই। আমরা সক্রিয়ভাবে এই ডেঙ্গুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি, বন্যার চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করে যাচ্ছি। যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি’র রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাদের বলেন, ‘একটি মহল, আমি বিএনপির কথাই বলি। তারা আজকে যেসব কথা বলে বেড়াচ্ছে, তারা অপপ্রচার করতে করতে দেশবাসীর কাছে আস্থা এমনভাবে হারিয়ে ফেলেছে তারা এখন কোনো সত্য কথা বললেও লোকে বিশ্বাস করে না। তাদের অবস্থা হয়েছে, এখন ওই রাখাল বালকের মত।
এদিকে, বর্ণিল আয়োজনে নানা কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে সংগঠনটি।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশে আঞ্চলিক সংগঠনের কার্যালয়ে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর প্রতিষ্ঠার ২৫বছরকে বর্ণিল ও স্মরণীয় করে রাখতে বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। ধাননমন্ডি-৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে ২৭ নম্বর সড়ক হয়ে শোভাযাত্রাটি সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় গিয়ে শেষ হয়। তার আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার রজত জয়ন্তীর কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের ও সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা নেতা ছিলেন বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোল্লা মো.আবু কাওছার এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের হাজার হাজার নেতাকর্মী শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এতে শোভাযাত্রীমুখী সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।