নিজস্ব প্রতিবেদক: চলামান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগনের পাশে দাড়াতে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্রের অতন্ত প্রহরী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর দেশ নায়ক আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্নদ্রষ্টা, তারুন্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও খুলনা-৩ নির্বাচনী এলাকার বিএনপির অভিভাবক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের নিজস্ব অর্থায়নে খুলনা মহানগরীর নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য ব্যাপক ভিক্তিক মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসুচি গ্রহন করেন । বিশেষত খুলনা-৩ নির্বাচনী এলাকার ১৫টি ওয়ার্ড ও ২টি ইউনিয়ন পরিষদের করোনায় গৃহবন্ধী প্রায় ৬১৫০টি নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরনের লক্ষে এ কর্মসূচি । কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিক ত্রান বিতরনের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার খালিশপুর ৯নং ওয়ার্ডের গোয়ালখালি ইউনিট বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ত্রান বিতরণ করা হয় ।
কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের পক্ষে এ ত্রান সামগ্রী বিতরণে নেতৃত্ব দেন ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ জাহিদুল ইসলাম এবং সাবেক ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল কবির টিটোর তত্বাবধানে দেড় শতাধিক দুস্থ, অসহায়, কর্মহীন পরিবারের মাঝে তৃতীয় দফায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় । এ সময় ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশী উপস্থিত ছিলেন। খুলনা মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি স ম আব্দুর রহমান, শাহিনুল ইসলাম পাখি, শেখ সাদি, কেন্দ্রীয় যুবনেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আবুল কালাম জিয়া, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম হোসেন, গোলাম মোস্তফা ভুট্টো, হাফিজার রহমান, আব্বাস ফকির, বাবুল হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ ,দেশে প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস পরবর্তী লকডাউনের ফলে খুলনাঞ্চলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল নগরীর বিভিন্ন এলাকার নিন্ম আয়ের মানুষ জন্য ত্রান বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন । বিশেষ করে খুলনা-৩ নির্বাচনী এলাকার প্রায় ছয় হাজার দুস্থ,অহহায় ও নিন্ম আয়ের পরিবার ও আর্থিকভাবে দুর্বল দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ধারাবাহিক ত্রান বিতরণ শুরু হয় । প্রতিদিন খুলনা-৩ নির্বাচনী এলাকায় রকিবুল ইসলাম বকুল নগরীর ১৫টি ওয়ার্ড ও ২টি ইউনিয়নের প্রায় ৬১৫০নিম্ন আয়ের মানুষসহ সর্বস্থরের বিবদ গ্রস্থদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী,সবজী,মাছ,ঈদ উপহার,নগদ অর্থ,প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য বিশেষ খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করেন । তার আর্থিক সয়াহতায় এ ত্রাণ কার্যক্রম তৃর্নমূল পর্যায়ে বাস্থবায়ন করছে ওয়ার্ড বিএনপি,থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা । প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লকডাউন শুরু থেকে আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের পক্ষে ধারাবাহিক ভাবে খালিশপুর,দৌলতপুর ও খাঁনজাহান আলী থানা এবং নগরীর অন্যান্ন এলাকায় এই ত্রান বিতরণ ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দরা । এ ছাড়াও যেসব মধ্যবিত্ত পরিবার এই দুর্ভোগে রাস্তায় দাড়াতে পারেনা তাদের জন্য চালু করেছেন বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম হটলাইন নান্বর,ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে যারা খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চান তাদের তথ্য গোপন করে রাতের অন্ধকারে আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের পক্ষে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পৌছে দিচ্ছেন খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ।
উদ্বেগ প্রকাশঃ
খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিলের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী,গ্রেড ভিক্তিক ঈদ উৎসব বোনাস ও সাধারন ছুটির পাওনা পরিশোধ না করে শ্রমিকদের পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল । এক বিবৃতিতে তিনি জানান,খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের অন্যান্ন মিলের মজুরী, ঈদ উৎসব বোনাস ও সাধারন ছুটির পাওনা পরিশোধ করা হলেও খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিলের শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না হওয়ায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন । অবিলন্বে রাজপথে থাকা বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার সাধারন ছুটি ও উৎসব বোনাস পরিশোধে বিজেএমসির প্রতি আহবান জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল ।
উল্লেখঃ-বকেয়া মজুরীর দাবিতে খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বিআইডিসি রোড অবরোধ করে সড়কের উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মজুরী (করোনা ভাইরাসের কারনে)’র আগে ৫ সপ্তাহ, করোনা ভাইরাসের কারনে মিল বন্ধ থাকায় ৬ সপ্তাহ এবং চলতি ২ সপ্তাহসহ মোট ১৩ সপ্তাহর মজুরী বকেয়া রয়েছে খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিজেএমসি নিয়স্ত্রনাধীন ৫ টি জুট মিলে। গত রবিবার খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিলের শ্রমিক নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার ও মঙ্গলবার মানবন্ধন এবং কর্মবিরতির দুইদিনের আন্দোলন কর্মসুচির ঘোষনা করে। গতকাল শ্রমিকদের মানববন্ধন শুরু হওয়ার সময় খালিশপুর জুট মিলের কর্মকর্তরা বকেয়া মজুরী প্রদানের আশ্বস দেন, যার কারনে শ্রমিক নেতারা রাতের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরী প্রদানের দাবি জানিয়ে মানবন্ধন কর্মসুচি সাময়িক স্থগিত করে। শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। পার্শ্ববর্তী প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট জুট মিলে ৫ সপ্তাহর মজুরী এবং দৌলতপুর জুট মিলে ১ সপ্তাহর পাওনা মজুরী প্রদান করা হয়। এ সংবাদ খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা মিলের সকল বিভাগের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা বিআইডিসি রোড, রেললাইনের উপর টায়ার আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শ্রমিকরা পিপলস গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং চারদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ সময় খালিশপুর থানার টহল পুলিশের গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করে।