বিএনপি’র রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন আজিজুল হাসান দুলু। দলের সব ক্রান্তিকালে দুলু দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। মামলা হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে দুলু থাকতেন সামনের কাতারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। আদর্শের রাজনীতিতে আপসহীন, অত্যন্ত সাহসী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানের অধিকারী নেতা আজিজুল হাসান দুলুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে খুলনা বিএনপি’র রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে সাংগঠনিক নেতৃত্বের বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা ও আপসহীনতা তাকে রাজনৈতিক প্যারামিটারের এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। সব স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তার ছিল বলিষ্ঠ প্রতিবাদী ভূমিকা। দুলু তার মেধা ও বিচক্ষণতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাই তাকে একজন সত্যিকারের রাজনৈতিক সংগঠকে পরিণত করেছিল। দুলু কতটা গ্রহণযোগ্য প্রিয় মানুষ ছিলেন যা তার জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রয়াত বিএনপি নেতা আজিজুল হাসান দুলুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়ায় অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, দুলুর মতো একজন সাহসী ও তরুণ নেতার মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী শক্তি একজন উদীয়মান নেতৃত্ব হারালো। চলমান ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা এ প্রজন্মের জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ফকরুল আলম, আবু হোসেন বাবু, স.ম আ রহমান, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, সাহিনুল ইসলাম পাখি, অ্যাড. মাসুম রশিদ, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আব্দুর রহমান ডিনো, তারিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন,মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, সাইদ হাসান লাভলু, যুবদল নেতা কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, সাইফুল ইসলাম সান্টু, আব্দুল আজিজ সুমন, শেখ জাবির আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রনু, মুনতাসির আল মামুন, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, শেখ আদনান ইসলাম দ্বীপ, মাহমুদ আলম লোটাস, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, আজাদ আমিন, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি প্রমূখ।
উল্লেখ্য, নগর বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল হাসান দুলু দীর্ঘ একমাস চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন।