কিছুক্ষণ পরেই খুলনায় বিভাগীয় মহাসমাবেশ। সমাবেশ সফল করতে নগরীতে জড়ো হয়েছে বিভাগের ১০ জেলার মানুষ। সকাল থেকে নগরী যেন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। প্রতি ৫ মিনিট পর পর খন্ড খন্ড মিছিল সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও দলীয় নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী দল দেশের বিভিন্ন বিভাগে সমাবেশের আয়োজন করছে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার খুলনা মহানগরীতে এ সমাবেশ। সমাবেশকে বাধাগ্রস্থ করতে সৃষ্টি করা হয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। সকল প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে মানুষ সমাবেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
নগরীর শান্তিধাম মোড়ে কথা হয় শরণখোলা থেকে আগত রহিমের সাথে। তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ আজ জেগে উঠেছে। মানুষ আজ অপশাসনের হাত থেকে মুক্তি চায়। মুক্তির চেতনায় মানুষ পাগল হয়ে উঠেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সমাবেশ থেকে যেন মুক্তির ধ্বনি বের হয়।’
একই উপজেলার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘মা, মাটি ও গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি চাই। বাংলার মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে খালেদা জিয়ার মুখের দিকে। তিনি আন্দোলনের ডাক দিলেই মানুষ মুক্তির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে।’
সাতরাস্তা মোড়ে কথা হয় কয়রা উপজেলার আব্দুল বাসেত সানার সাথে। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনতে এসেছেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহার। মানুষ মুক্তির পথ খুজছে। তিনিও মুক্তির জন্য আজকের সমাবেশের জন্য খুলনায় এসেছেন। আসার পথে তিনি বাঁধা পেয়েছেন। রাতে ট্রলারযোগে খুলনায় এসেছেন। আজ যেন এখান থেকে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মোংলা থেকে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ বর্তমান সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আজ আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগদান করছি। সরকারের উচিত হবে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করা। সারাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তি জেগে উঠেছে। কোন ধরণের অপকর্ম করা হলে কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলবেনা।