আসাদুজ্জামান আসাদ:: বিছেলী বিক্রির টাকায়ই উঠছে খরচ। নওশের আলীর ঘরে ওঠা আমনের সবটাই এখন লাভ। চলতি আমনের মৌসুমে নওশের, জব্বার সহ সকলেরই বাজিমাৎ।
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমনের ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো থাকায় কৃষকরা খোশমেজাজে রয়েছে। রোদ-বৃষ্টিতে কাদ-পানির উৎপাদন খেলায় তারা বিজয়ের হাসি হাসছে। তবে ধানের উৎপাদন আর দামের খুশীকে উৎরে যাচ্ছে খড়, কুটো বা বিছেলী বিক্রি। বিছেলীতে ভালো দাম পাচ্ছেন। বলা যায় যা আশারও অতীত। বিঘা প্রতি বিছেলীতেই তাদের উঠছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সংগ্রহ থেকে সংরক্ষণের ঘরেও অনেকে বিছেলী ওঠাচ্ছেন টানের সময়ে আরো বেশী দামে বিক্রির আশায়। কারণ, বিছেলীই থাকে সবার উপরে গরুর খাবারের তালিকায়।
ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কৃষক ধান চাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর ফকিরহাটে আমনের উৎপাদন ভালোই হয়েছে। প্রতি বিঘা আমন চাষে কমবেশি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেখানে বিঘা প্রতি এখনই বিছেলী বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সাধারণ হিসেবে যেখানে পুরো খরচটাই উঠে আসছে কৃষকের। ঘরে ওঠা আমনের সবটাই সেখানে লাভ। ফকিররহাট সদরের জাড়িয়া গ্রামের কৃষক নওশের আলী জানালেন, আমার একবিঘা জমির কুটোর দাম উঠেছে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিবেশী জব্বার সহ অনেকের বাড়ীও বিছেলী আছে। দাম একইরকম।
ফকিরহাট বিশ্বরোড মোড়ের অদুরে কাঠালতলা গোডাউন মোড়ে রীতিমতো বিছেলীর আড়ত নিয়ে বসেছেন বেশ কয়েকজন। সেখানে বিছেলী বিক্রি হচ্ছে গ্রাম থেকে আরো বেশী দামে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন জানালেন, বিছেলীতে কৃষকের আবাদ খরচ ওঠা অবশ্যই আশাব্যন্জক। এতে করে কৃষক আমন চাষে আরো আগ্রহী হবে। আমরা এ বছর ফকিরহাটে মোট ৩০ জন আমন চাষীকে ফকিরহাটে নতুন ব্রী ১০৩ জাতের ধানচাষের আওতায় এনেছি। এ জাতের ধানগাছ উচ্চতায় বেশী। ধকল সহিষ্ণু এবং উৎপাদনেও ভালো। অন্যজাতের ধানের চেয়ে পরিমাণে বিছেলী বা খড়কুটো এ জাতে আরো বেশী।