বিদেশগামী কর্মীদের করোনা টেস্ট ফ্রিতে করার উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে বিদেশগামীরা যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন পায় সেজন্য কাজ করবে মন্ত্রণালয়। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিদেশ গমনে যাতে কেউ প্রতারিত না হয় সেজন্য সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রেখেছে।
শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’ স্লোগানে ওই ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করবে’।
প্রতিযোগিতায় বিরোধী দল সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে সরকারি দল ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক মিরাজ হোসেন গাজী, সাংবাদিক প্রসূন আশীষ, সাংবাদিক আরাফাত আরা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সাব এজেন্টদের নিবন্ধন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তবে বিশ্বমানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী প্রেরণের ওপর মন্ত্রণালয় অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি জর্ডানে আগামী ২ মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে সরকারিভাবে ১২ হাজার কর্মী বিনা খরচে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মী প্রেরণে অধিক স্বচ্ছতার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটাবেইজ তৈরি করছে। যেখান থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো চাহিদামতো দক্ষ ও অতিদক্ষ কর্মী সংগ্রহ করে বিদেশ পাঠাতে পারবে। করোনাভাইরাসের মহামারীর সংকট কাটিয়ে এ খাত অতি দ্রুতই আরও বেশি ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি জানান, রোমানিয়া, সিশেলস, ক্রোয়েশিয়া, উজবেকিস্তানসহ পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি নতুন শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, অভিবাসী কর্মীদের কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসুরক্ষা, আবাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি ভালো করে জেনে বুঝে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদেশে কর্মী পাঠাতে হবে। অভিবাসী ইচ্ছুক প্রত্যেক কর্মীকে অন্ততপক্ষে সেই দেশের ভাষাজ্ঞান, আইন জেনে একটি কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যাওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে রিক্রটিং এজেন্সিগুলোকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে দূতাবাসে সত্যায়ন, নিয়োগানুমতি, স্মার্টকার্ড ইত্যাদি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৈধভাবে কর্মী পাঠানের পরেও যাতে মানব পাচার আইনে কোনো রিক্রুটিং এজেন্সিকে হয়রানি না হতে হয়।