বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ্ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া যে শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে তিনি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে স্বৈরশাসকের কবল থেকে মুক্ত করেছেন। আমি দেশের ছাত্রসমাজ, শিক্ষকসমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, আইনজীবী, কবি-সাহিত্যিক, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলসমূহ এই আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য যে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন, এ জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যারা এই আন্দোলনের জন্য জীবন দিয়েছেন আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একইসাথে আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের তরুণদেরকে জাতি বীর হিসেবে স্মরণ রাখবে। আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে দেশ ও জাতির জন্য যে ভূমিকা পালন করেছেন, সেজন্য জাতি তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
সোমবার রাতে খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে নগরীতে এক বিশাল শোকরানা মিছিল বের করা হয়। মিছিল পুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ্ও মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ্ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলালের পরিচালনায় বক্তব্য দেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ নূরুল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর মাওলানা ওলিউল্লাহ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাজফুজুর রহমান বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল স্তরের নেতাকর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, রাজনৈতিক দলসমূহ ও সর্বস্তরের জনতাকে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, বাড়িঘর ও সম্পত্তির নিরাপত্তার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন দেশে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সুন্দর দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’