খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দেশের শিক্ষাঙ্গনে কোন ভূমিকা নেই বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের। তাদের সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেয়া হতো সীমিত। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার উপযোগী কোন ভবন ছিলনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়িয়েছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সুউচ্চ ভবন করে দিয়েছে। ছেলেমেয়েদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা প্রয়োজন, এই প্রয়োজনকে মাথায় রেখে শেখ হাসিনা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার উপযোগী একটি করে মাঠ উপহার দিয়েছেন। খেলাধুলা শিক্ষার একটি অংশ, ছেলেমেয়েদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার বিকল্প নেই। ছেলেমেয়েদের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন যে, রামপাল উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল একসময়ে জরাজীর্ণ। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার মতো পরিবেশ ছিলনা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সারাদেশের মতো রামপাল উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেনি, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে। দেশে খেলাধুলার প্রসার ঘটাতে প্রতি বছর প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। এতে দেশের গ্রামীণ পর্যায় থেকে উদীয়মান খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার এত উন্নয়ন করার পরেও বিরোধীরা দেশের উন্নয়ন নিয়ে সমালোচনা করে। আসলে বিরোধীদের চোখ থাকলেও তারা অন্ধ। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন চোখে দেখতে পাননা। বিরোধী দলের নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করতে বাড়ি থেকে যে রাস্তায় বের হয়, সে রাস্তাটাও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের করা।
তিনি আরও বলেন যে, সুন্দরবনের কোলঘেঁষা বাগেরহাট-৩(রামপাল-মোংলা) আসনটি। এ আসনে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ছিল সন্ত্রাসীদের দখলে। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস মৎস্য ঘের। সাধারণ মানুষের মৎস্য ঘের বিএনপি জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দখল করে নিত। সাধারণ মানুষ তাদের জমির হারীর টাকা চাইতে গেলে নৃশংসভাবে হত্যা করতো। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে। এখন এ অঞ্চলের মানুষ সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করছে।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১.০০ টায় বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবন মহিলা কলেজের ২৮ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সুন্দরবন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ খালিদ আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর হারুনর রশীদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ডিসিপ্লিন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর সামিউল হক, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পাল, প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোতাহার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ বজলুর রহমান, আরাফাত হোসেন কচি, জালাল উদ্দীন দুলাল, জুলফিকার আলি ভুট্টো ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানসহ কলেজের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।