অনলাইন ডেস্কঃবিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়া ভারতকে থমকে যেতে হয়েছে সেমিফাইনালেই। বিরাট কোহলির দলের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনাটা এখনও কমেনি সেভাবে। এরই মধ্যে নতুন বিতর্ক।বিশ্বকাপ চলার সময় নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আইন ভেঙে নিজের স্ত্রীকে সঙ্গে রেখে দিয়েছিলেন দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার।
এমনিতে বিশ্বকাপ চলার সময় ১৫ দিনের মতো স্ত্রীদের সঙ্গে রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু অভিযুক্ত ওই ক্রিকেটার গত ৩ মে’র সভাতেই কমিটি অব এডমিনিস্ট্রেটরকে (সিওএ) অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তার সঙ্গে পুরোটা সময় স্ত্রী রাখতে দেয়া হয়। সিওএ তাতে রাজি হয়নি।
বিশ্বকাপ শেষে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। সিওএ অনুমতি না দিলেও সাত সপ্তাহের টুর্নামেন্টে পুরোটা সময় স্ত্রীকে নাকি সঙ্গেই রেখে দিয়েছিলেন ওই ক্রিকেটার। অধিনায়ক বা কোচ কারোরই অনুমতি নেননি।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের এক কর্তা। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সে খেলোয়াড়ই ১৫ দিনের নিয়ম ভেঙেছেন, যার অনুরোধ ৩ মে’র মিটিংয়ে গ্রাহ্য হয়নি। প্রশ্ন হলো, তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে রাখার বাড়তি সময়ের জন্য কার কাছে অনুমতি নিয়েছেন। নিতে পারেন কোচ কিংবা অধিনায়কের কাছে। কিন্তু তিনি তো সেটাও করেননি।’
সিনিয়র ওই খেলোয়াড়ের আইন ভঙ্গের এই বিষয়টি এখন পর্যন্ত সিওএ’র কাছে রিপোর্ট করা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ম্যানেজার সুনিল সুব্রামানিয়াম কেন এটা নিয়ে ভেটো দেননি। এটা তারই দায়িত্ব।
বিসিসিআইয়ের ওই কর্তা বলেন, ‘সুব্রামানিয়ামের কাজটা কি? তার কাজ শুধু দলের ট্রেনিং দেখা নয়। কোচ, অধিনায়ক এবং অন্য সাপোর্ট স্টাফদের কাজ পুরো বিষয়গুলো দেখা। আশা করছি, সিওএ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেবে এবং ম্যানেজারের কাছে রিপোর্ট চাইবে।