বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২,০২৫ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭২ হাজার ৬৩৫ জন।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪১ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৭৮ জনের শরীরে।
সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৫ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৭২ জন। এদের মধ্যে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ৭৪৫ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৮ হাজার ৫২৭ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৯২৮ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪ হাজার ৯৮৫ জন।
মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৪১৬ জন।
এর পরের অবস্থানেই রয়েছে ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ইতালির অবস্থান দশম। এখানে ২ লাখ ৪১ হাজার ৬১১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৩৬৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৮ জন।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২,০২৫ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭২ হাজার ৬৩৫ জন।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।