সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা সোমবার , ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু পরামর্শ | চ্যানেল খুলনা

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু পরামর্শ

অনলাইন ডেস্কঃউচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করার পরপরই চলে আসে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বসতে হয় ছাত্রজীবনের সবচেয়ে কঠিন তম পরীক্ষায়। এই পরীক্ষা বদলে দিতে পারে জীবনের স্বপ্ন, ভেঙ্গে দিতে পারে সব আশা। এই পরীক্ষার পরই চলে আসে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যে সময়ে নেয়া একটিমাত্র সিদ্ধান্ত পুরো জীবনের দৃশ্যপটটাই বদলে দিতে পারে। তাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিজেকে খুব পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে হয়।

ভর্তি পরীক্ষার আগের এই সময়টাতে তাই সবাই একটু না একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়- এখন কী করবো, কী করা উচিত কিংবা কী করলে ভালো হয় এই প্রশ্নগুলো নিয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে এই প্রশ্ন গুলোয় নিজেদের জর্জরিত করতে করতে অনেকেরই মূল্যবান সময়ের বেশির ভাগই অপচয় হয়ে যায়। এই মূল্যবান সময়গুলো যাতে নষ্ট না হয় তাই তোমাদের জন্য রইলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।

১. শৈশব থেকে লালিত কোনো পেশা জড়িত স্বপ্ন প্রায় সম্পূর্ণই নির্ভর করে এই পরীক্ষার ওপর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্নের কথা। এই স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য যথাক্রমে মেডিকেল কলেজ আর ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে চান্স পাওয়াটা হলো প্রথম সোপান। অনেকেই মনে করে, “সামান্য একটা পরীক্ষাই তো। জীবনে কত পরীক্ষা দিলাম! এ আর নতুন কী!” আর এই চিন্তাটাই হলো হোঁচট খাওয়ার প্রথম কারণ। জীবনে তুমি অসংখ্য পরীক্ষা দিয়ে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাটা আলাদা করে দেখতেই হবে; নিতে হবে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে।

২. ভর্তি যুদ্ধের দুইটি বিশেষ অস্ত্রের নাম ‘আত্মবিশ্বাস’ ও ‘দৃঢ় মনোবল’। ভর্তি পরীক্ষার আগের চার মাস তুমি পদে পদে হোঁচট খাবে। বারবার মনে হবে যে তোমাকে দিয়ে হবে না। ভর্তি কোচিং-এর পরীক্ষা কোনোটা ভালো হবে আবার কোনোটা খুব খারাপ হবে। এই স্রোতের ওঠানামার সাথে টিকে থাকাটা কঠিন। মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখাটা খুব কঠিন। কিন্তু মনে রাখবে “হোঁচট খাওয়ার মানেই হেরে যাওয়া নয়, জয়ের অনীহা থেকেই পরাজয়ের শুরু হয়।”

মানসিক অবস্থা দৃঢ় রাখার মূলমন্ত্র হলো অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা না করা। এই চার মাস দেখবে অন্যের প্রাপ্ত নম্বর দেখে হতাশ লাগবে। প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর দেখে নিজেকে তুচ্ছ মনে হবে, কিন্তু লড়াইটা করতে হবে নিজের সাথে। তোমার প্রতিযোগী তুমি নিজেই। আজকে পরীক্ষায় যত নম্বর পেলে, পরের পরীক্ষায় নিজেরই সেই নম্বরকে টেক্কা দাও। এভাবে প্রতিদিন ছাড়িয়ে যাও গতকালের তুমিকে।

৩. সবসময় নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা কর। আত্মবিশ্বাস রাখ। আর নিজে নিজেকে বুঝাও যে একমাত্র যদি ভাগ্য বাধা না হয়ে দাড়ায় তাহলে চান্স হবেই।

৪. বর্তমানের একটি সাধারণ চিত্র এটি। ছোটবেলা থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে কিছু স্বপ্ন লালন করি। কিন্তু আমাদের পরিবার তথা বাবা-মা তাঁরাও আমাদের নিয়ে কিছু স্বপ্ন লালন করে। এমন পরিস্থিতিতে একজন পরীক্ষার্থীর কী করা উচিত? পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা কিছু করতে পারি না। তাই তোমার মনের মধ্যে নিজেকে নিয়ে কী স্বপ্ন লালন করছো তা বুঝিয়ে বলো আর সে পথে ধরেই এগোও। তোমার লক্ষ্যকে অটুট রেখে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নাও।

৫. জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় খুব দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই! যেমন ধরো, তুমি বুয়েট কিংবা মেডিকেলের প্রস্তুতি নিলে, কিন্তু রেজাল্ট দেয়ার পর দেখলে তোমার হলো না। তুমি ভাবছো তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগরসহ আরও বেশ কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম তুলে রাখো। মনের জোরে পরীক্ষাগুলো না হয় দিয়েই দাও! বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখে যে কয়দিন থাকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করো। হতে পারে প্রথমবার ব্যর্থ হওয়া এই তুমিই পরের পরীক্ষাগুলোর সব কটায় টিকে গেলে!

কিংবা ধরো, একসাথে একের অধিক জায়গায় চান্স পেলে তুমি। তুমি যেকোনো একটা জায়গাতেই শুধু হতে ভর্তি হতে পারবে। কারণ, একসাথে একাধিক জায়গায় পড়ার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে কী হবে তোমার সিদ্ধান্ত? তোমার ইন্টারেস্টের জায়গাটা খুঁজে বের করো, কী নিয়ে তোমার পড়তে ভালো লাগে। কারণ চার/পাঁচ বছর তোমার সেই বিষয়টা নিয়েই পড়তে হবে। ভালো লাগা না থাকলে সাফল্যের মুখ দেখাটা আসলে কষ্টসাধ্য ব্যাপার!

৬. ভর্তি পরীক্ষার আগে স্টুডেন্টদের করা সব থেকে কমন প্রশ্ন- কোন কোচিংয়ে পড়লে ভালো হয়? আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সাথে কোচিং সেন্টারের খুব বেশি একটা সংযোগ নেই। কোচিং সেন্টার আমাদের পড়ার ক্ষেত্রে শুধু দিক নির্দেশনা দিতে পারে কিন্তু চান্স পাওয়ার জন্য পড়াশোনা তোমার নিজেরই করতে হবে।

৭. বিবেক দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে একটা ঝুঁকি নিতে হবে। তুমি খুবই দ্বিধায় ভুগছো কোন জায়গার প্রিপারেশন নিবে, ভার্সিটির নাকি মেডিকেলের। এবার ভালোলাগার গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলো!

৮. সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় মনে ভয় আর সংশয় রেখো না। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার সময় নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দাও, পরীক্ষার পরে যাতে তোমার নিজেকে নিয়ে কোনো আফসোস না থাকে। তোমার যাতে এমন মনে না হয়, হয়তো আরেকটু ভালোভাবে পড়লে চান্সটা পেয়ে যেতে তুমি! তাই প্রস্তুতি নেয়ার জন্য যে কয়দিনই পাও না কেন, চেষ্টায় গাফিলতি রেখো না। অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আর তোমার আন্তরিক প্রচেষ্টায় যথাসময়ে তুমি নিজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।

এভাবে যদি তুমি নিজেকে পরিচালিত করো, তাহলে সাফল্যের দেখা পাবে বলে আশা করি।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

ঢাকা মেডিকেল থেকে ‘ভুয়া নারী চিকিৎসক’ আটক

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের ওপর ডিম নিক্ষেপ

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

কালীগঞ্জে ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে যুবক আটক

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।