মারা গেছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কলিন ম্যাকডোনাল্ড। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বিশ্বের সাবেক সেরা ব্যাটসম্যান ম্যাকডোনাল্ড সোমবার মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী আর্ল এডিংস বলেন, ভিক্টোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের কিংবদন্তি হিসেবে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন কলিন। ফাস্টবোলারদের সামনে তিনি ছিলেন ভয়ডরহীন, স্পিনের বিপক্ষেও তার স্কিল ছিল দুর্দান্ত। আন্তর্জাতিক ও রাজ্য পর্যায়ে এবং ক্লাব ক্রিকেটে তার অসাধারণ সেবার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সমৃদ্ধ হয়েছে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে টুইট করেছে।
হেলমেটপূর্ব যুগের ক্রিকেটার ছিলেন ম্যাকডোনাল্ড। সে সময় হেলমেট না পরেই ম্যাকডোনাল্ড ফাস্টবোলারদের যেভাবে মোকাবেলা করতেন, তা বতর্মান ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য।
কোনো রকম সুরক্ষা কবজ না পরেই ওয়েস হল, ফ্র্যাঙ্ক টাইসন, ফ্রেড ট্রুম্যান, ব্রায়ান স্টাথামের মতো ভয়ঙ্কর সব ফাস্টবোলারকে মেরে তুলোধোনা করেছেন তিনি।
স্পিন বলকে দারুণ দক্ষতায় সামলেছেন। ক্যারিয়ারের একসময় বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যানে পরিণত হন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া দলে ওপেনিংয়ে নামতেন ম্যাকডোনাল্ড। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৬১ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৭ টেস্ট খেলেন এ ওপেনার।
টেস্টে তার সংগ্রহ ৩৯.৩২ গড়ে ৩১০৭ রান। এতে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৭ ফিফটি রয়েছে। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশ উজ্জ্বল ম্যাকডোনাল্ড। ২৯ সেঞ্চুরিতে ১১৩৭৫ রান জমা করেন ঝুলিতে।
১৯৫৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বাংলাদেশে টেস্ট খেলে গেছেন ম্যাকডোনাল্ড। ঢাকা অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৮ উইকেটের জয় পায়। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাকডোনাল্ড।
ম্যাকডোনাল্ডের ক্যারিয়ারের সেরা সময় ছিল ১৯৫৫ সাল। সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি করেন। ৬৪.১৪ গড়ে ৪৪৯ রান করেন তিনি। একই বছর ইংলিশদের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেন। ৬৪.৮৭ গড়ে ৫১৯ রান করেন।
তবে সাফল্যের সেরা পুরস্কারটি পান ১৯৫৯ সালের আগস্টে। সেই সময় আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠেন তিনি।
ক্যারিয়ার শেষে ক্রিকেট ও টেনিসে দীর্ঘসময় ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ম্যাকডোনাল্ড।