রাজধানীর ডেমরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মো. লুৎফর রহমান (৩৮) নামে এক প্রবাসী যুবকের কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ২ লাখ টাকার ফার্নিচার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মা-মেয়ে ও খালাসহ তিন নারী প্রতারকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই তিন প্রতারককে মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন রূপসী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পাপুয়া নিউগিনি প্রবাসী লুৎফর রহমান গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গত ২ ফেব্রুয়ারি ডেমরা থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের পূর্বগ্রাম এলাকার মো. সোলায়মানের মেয়ে সিনথিয়া আক্তার (২১), তার মা মাহফুজা আক্তার (৪২) ও তার আপন খালা সোনিয়া আক্তার (৩৬)। তারা ডেমরার মধ্য হাজীনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, গত ৪ মাস আগে দেশে ফিরেন লুৎফর রহমান। পরবর্তীতে জাকির হোসেন নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় সিনথিয়ার সঙ্গে। সিনথিয়া নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে লুৎফরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে সিনথিয়া লুৎফরের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৮ লাখ টাকা নেয়। এদিকে সিনথিয়ার মা ও খালা লুৎফরকে তাদের মেয়ের জামাই করার প্রস্তাব দেয়।
এক্ষেত্রে তাকে নগদ ২ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণসহ আসবাবপত্র দিতে হবে। এ প্রস্তাবে লুৎফর রাজি হন। এদিকে বিয়ের পর নতুন ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকার নতুন ফার্নিচার দেন লুৎফর।
এসআই সেলিম মিয়া আরও জানান, গত ২৮ জানুয়ারি বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় প্রবাসী লুৎফর তার পরিচিত ২ জনকে নিয়ে বিয়ের উদ্দেশে ডেমরার মীরপাড়া এলাকায় আসেন। একটি গাড়িতে করে প্রতারক চক্ররা তাদের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
এ সময় লুৎফরের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বুঝে নেয় প্রতারকরা। পরবর্তীতে প্রতারকরা লুৎফরকে বলে, সিনথিয়ার আগে বিয়ে হয়েছে। তোরা বাঁচতে চাইলে দ্রুত পালিয়ে যা, নইলে জবাই করে মেরে ফেলব। এ ঘটনায় লুৎফর ও তার পরিচিতরা চলে আসেন। এ বিষয়ে লুৎফর রহমান মোবাইল ফোনে এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।