করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে ঘোষিত বিধিনিষেধ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করবে সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিয়েসহ অন্য সব সামাজিক অনুষ্ঠান উন্মুক্ত স্থানে করা যাবে না।
তবে এ ধরনের অনুষ্ঠান ঘরোয়াভাবে করতে কোনো বাধা নেই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংক্রমণ মোকাবিলায় গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা বিধিনিষেধের কথা বলা হয়।
এতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বলা হয়, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, প্রজ্ঞাপনটি এমনভাবে দেওয়া হয়েছে, যাতে জীবন ও জীবিকা একসঙ্গে চালানো যায়। অর্থাৎ জীবনটা বাঁচাতে চাই, জীবিকাটাও যেন নিশ্চিত করা যায়। কারণ, হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ করে দিলে মানুষ কোথায় যাবে?
তিনি বলেন, অনেকে বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য করে ফেলেছেন। কমিউনিটি সেন্টার ভাড়াসহ হয়ত অনেক কিছুর আয়োজন করে ফেলেছেন। এখন হঠাৎ যদি বিয়ে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। সেদিক বিবেচনা করে ঘরোয়াভাবে বিয়ে করার বিষয়ে অনুমতি আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন মোবাইল কোর্ট দিয়ে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হলে দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সেজন্য সবকিছু বিবেচনা করে এসব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে মৃত্যুর হার বেড়ে গেলে কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। সেজন্য মানুষকে বারবার বলা হচ্ছে, যাতে করে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু করেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯১৬ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশে।
করোনায় এখন পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ এক হাজার ৩০৫ জনে।