বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে পাস হতে যাচ্ছে। এ দিনে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আইনটি পাসের জন্য প্রস্তাব করবেন। জাতীয় সংসদের বৃহস্পতিবারের কার্যসূচিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কার্যসূচিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিমিত্তে প্রণয়নকল্পে আনীত বিল পাসের প্রস্তাব করবেন।
এর আগে, গত রোববার ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সংসদে প্রতিবেদন দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছিল। সংবিধানে বলা আছে, সাংবিধানিক সংস্থা ইসিতে কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির এবং সেটি একটি আইনের অধীনে হতে হবে। কিন্তু আইন না থাকায় বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
তবে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি সংলাপের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই সংলাপে অংশ নেওয়া ২৫টি দলের প্রায় সবগুলো ইসি গঠনে স্থায়ী সমাধান হিসেবে আইন প্রণয়নের উপর জোর দেয়। এ বিষয়ে সম্মত হন রাষ্ট্রপতি। এই প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করাও হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু বলা হয়, সময়সংকটের কারণে এবার আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে না। যদিও সেই অবস্থান পরিবর্তন করে অনেকটা আকস্মিকভাবে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে কাজ শুরু করে সরকার।