বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করেছিল, সে এখন দিল্লিতে। দিল্লিতে বসে সেই মাফিয়া রানী ষড়যন্ত্র করছেন। আর বিগত ১৬বছর নানান ষড়যন্ত্রের শিকার সাবেক সবচে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন বাংলাদেশের সবচাইতে মর্যাদা পূর্ণ ব্যক্তি। ১৭ বছর ধরে মামলা হামলায় ষড়যন্ত্রের আগুনে পুড়ে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিনত হয়েছে। সুতরাং আমাদেরকে আর ষড়যন্ত্রের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। আমরা রাজপথে আন্দোলন করে দেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি। মাফিয়া সরকার আমাদের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের আন্দোলন চলছে, আমাদের সংগ্রাম চলছে। এই দেশের মাটিতে অচিরেই নির্বাচন হবে। এই দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরে আসবে। দেশের মানুষ আর আমি ডামির নির্বাচন দেখতে চায় না। বিগত ১৭ বছর যারা শ্রীফলাতলাকে সন্ত্রাসীর জনপথ বানিয়েছেন তাদের বিচার সরকার করবে। আমরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিশ্বাস করি না। আমরা সম্প্রীতির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১দফার আলোকে সাম্য ও মানবিক সমাজ বির্নিমানে সম্প্রীতির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর জীবনের বিনিময়ে আমরা দেশে অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার পেয়েছি। অর্ন্তবরতীকালীন সরকার আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সরকার। আমরা চাচ্ছি ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার অল্প সময়ের মধ্যে দেশে একটি সুষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত সরকার উপহার দিবেন। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা মাফিয়া সরকারের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টা কথিত সংস্কারের নামে কাল ক্ষেপন করছেন। দেশের সকল সংকটে জিয়া পরিবার নেতৃত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এই জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সিপাহি জনতা জিয়াউর রহমানকে জেলখানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এলে তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। ’৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকেও জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২০২৪ সালে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হাত থেকে ছাত্র-জনতা যে আন্দোলন করেছেন সে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব ও পরামর্শ দিয়ে জাতিকে মুক্ত করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। তিনি বলেন বিগত ১৭ বছরের রুপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ার মানুষ বাড়িতে থাকতে পারেনি। মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করেছে আওয়ামী লীগ। কারা হামলা করেছে, কারা মামলা দিয়েছে তা আমরা জানি কিন্তু আমরা কোন সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা দোষি যারা অবিচার করেছেন তাদের বিচার করবে সরকার।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। শ্রীফলতলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শরীফুল ইসলাম বকুলের সভাপতিত্বে ও শ্রীফলতলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন ইজারাদার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, মোল্লা খাইরুল আলম, এনামুল হক সজল, রুপসা থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা সাইফুল রহমান, রুপসা থানা বিএনপির সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।