চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় কাদিগড় জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। এর ফলে শাল ও গজারি গাছ, বানর এবং বিভিন্ন বন্যপ্রাণীসহ হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।
সূত্রে জানা যায়, ভালুকার কাদিগড় স্থানীয় বন কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নিষেধ করলেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনো কথা শোনেনি। ইতোমধ্যে তারা ১২টি বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ফলে জাতীয় উদ্যানের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বানরসহ বিভিন্ন জাতের বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বনের ভেতরে শাল ও গজারিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছে আগুন লাগতে পারে।
এ বিষয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রজেক্ট ডিভিশন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর আরিফ হোসাইন জানান, ‘বন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। তবে বন বিভাগ বাধা দিলে এদিক দিয়েই বিকল্প পদ্ধতিতে লাইন নেবেন যেহেতু খুঁটি মাটিতে পোঁতা হয়ে গেছে।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভালুকা উপজেলার কাদিগড় বিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, সাড়ে ৮শ একর জমি নিয়ে কাদিগড় জাতীয় উদ্যান গড়ে উঠে। যেখানে শাল ও গজারি বনে বানর ও মেছো বাঘসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী রয়েছে। এছাড়াও এখানে প্রায়ই আনন্দ ভ্রমণ ও বন ভোজন করতে আসছে পর্যটকগণ। বন এলাকার ভেতর দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নেওয়ার কারণে মূল্যবান শাল ও গজারি গাছ নষ্ট হবে। এমনকি বিদ্যুতায়িত হয়ে বানরসহ বিভিন্ন জাতের বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
তিনি আরও বলেন, বনের এলাকার ভেতর দিয়ে রাস্তা, বিদ্যুৎ লাইনসহ যে কোনো উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নিলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ুর ক্ষতিরোধ কল্পে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অনুমতি নিতে হবে। এ বিষয়ে ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর পত্র দেওয়া হয়েছে।