সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৈষম্যহীন সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার | চ্যানেল খুলনা

ডুমুরিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় সভায়

বৈষম্যহীন সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী হিন্দুদের ওপর আঘাতে বিশ্বাস করে না। যেকোনো অন্যায় হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমানসহ সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। আমি এই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার এমপি ছিলাম। আমাকে হিন্দুরাও অনেক ভোট দিয়েছিল, তারা আমাদের বিশ্বাস করে। আমাদের ওপর তাদের পুরোপুরি আস্থা আছে। এটা আমাদের আদর্শিক দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামী এই আদর্শিক দায়িত্ব থেকেই সারাদেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসানালয় ও বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বাইরেও যদি আপনারা আপনাদের নিরাপত্তায় জামায়াতকে প্রয়োজন মনে করেন, যেকোনো সময়েই আমাদেরকে ফোন করবেন, আমরা সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশকে অর্থবহ, স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিতে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈষম্যহীন সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এজন্য সরকারকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। উপদেষ্টাদের কর্মতৎপরতায় গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের সততা ও দেশপ্রেমের পরিচয় ফুটে উঠবে। তিনি গণহত্যার নির্দেশদাতা, মদদদাতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষক সশস্ত্র খুনি ক্যাডারদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার জোবায়েদ আলী অডিটোরিয়ামে কালিবাড়ি মঠ এর উদ্যোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
কালিবাড়ি মঠ এর সহ-সভাপতি এডভোকেট অশোক কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে পরিতোষ কুমার এর পরিচালনায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপজেলা পুজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি মিলন কান্তি মল্লিক, পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সরদার, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী বাবু কৃষ্ণ নন্দি, নিত্যানন্দ মন্ডল, বাবু অরুন কুমার গোলদার, ডা. হরিদাস, অশোক আচার্য্য, অরুন কুমার, তাপস দাস, অরুন মন্ডল, পরিতোষ কুমার বালা, মৃনাল ঋষি, অমূল্য মাস্টার, রঞ্জন কুমার মন্ডল প্রমুখ।
সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট জনরোষে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এবং তিনি জাতিকে কোনো দিক নির্দেশনা না দিয়েই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে আপামর জনসাধারণ, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, নারী-পুরুষ সকলেই সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। দেশের সর্বস্তরের মানুষ জালিম সরকার দ্বারা কোনো না কোনোভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দেশবাসীর পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসেন। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু কারো কারো উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে দুর্বৃত্তরা শহর-বন্দর-গ্রামে নাশকতা শুরু করে। সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর এবং ক্ষেত্র বিশেষে কিছু কিছু জায়গায় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে আঘাত হানা হয়েছে। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিবেকসম্পন্ন মানুষ এই কাজগুলো করতে পারে না। এই দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে আমরা কয়েকবার নিন্দা জ্ঞাপন করেছি এবং আজ এই মতবিনিময় সভার মাধ্যমেও করছি। এই অবস্থায় আমরা দেশবাসীর পাশাপাশি আমাদের সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তিকে সকল ধর্মাবলম¦ী মানুষের সহায়-সম্পত্তি রক্ষায় পাহারাদারের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের দেশে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘিষ্ট নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যারাই এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে, তারা সকলেই এদেশের নাগরিক এবং সকলের অধিকার সমান। এখানে আপন সত্তায় সকলেই উজ্জ্বল। কাজেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘিষ্ট এই প্রশ্ন অবান্তর। আমি আবারো আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা যেখানেই দুর্বৃত্তপনা দেখবেন, কঠোর হস্তে দমন করবেন। কথা দিচ্ছি প্রশাসনকে আমরা এব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ইতোমধ্যেই আমরা সংগঠনের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদেরকে এব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য নিজ নিজ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের অঙ্গীকারের কথা পৌঁছে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের নেতৃবৃন্দ এই আহ্বানে সারা দিয়ে সারাদেশে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে সকল দুর্বৃত্তপনা বন্ধ করা আমাদের সংগঠনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকা আবশ্যক। যদি আমরা গোটা সমাজ এবং প্রশাসন একসাথে কাজ করতে পারি, তাহলে এই দুর্বৃত্তপনা বন্ধ করা অবশ্যই সম্ভব। যারা এই নাশকতা ও দুর্বৃত্তপনার সাথে জড়িত তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় হিন্দু নেতারা বলেন, বর্তমান ক্রান্তিকালে জামায়াতে ইসলামী যেভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমরা প্রত্যাশা করি সব সময় আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
অপরদিকে এর আগে সকাল পৌণে ১০ টায় ফুলতলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে অমুসলিম ভাই-বোনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক গৌতম কুমার কুন্ডু সভাপতিত্বে ও বাবু অনুপম মিত্র এর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিযা গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গওসুল আযম হাদী, হাফেজ আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, আশরাফুল আলম, সরদার আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল, ড. একরাম উদ্দিন সুমন, ফুলতলা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সমীর কুমার ব্রহ্ম, অধ্যক্ষ অজয় কুমার কুন্ডু, ফুলতলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরহরি দাস, বিশ্বনাথ কুন্ডু, বাবু বাসুদেব সেন, পল্লব কুমার সেন, বাবু অমরেন্দ্রনাথ, আতিয়ার আকুঞ্জি, চন্দন কুন্ডু প্রমুখ। এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জনগনের সেবায় নতুন রূপে এসেছে পুলিশ। সুতরাং পুলিশ এখন আর আতংকের নাম নয়, বরং সত্যিকারের জনগণের বন্ধুরূপেই পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী দু:শাসনের অবসান হয়েছে। এখন সকলেই নির্বিঘেœ, নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারবেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার আহবান জানান। তবে কোন প্রকার চাঁদাবাজ, ভাংচুরকারী বা লুটপাটকারীদের তথ্য পেলেই সেখানে শান্তির বার্তা নিয়ে হাজির হবেন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। একইসাথে অন্য সকল ধর্মাবলম্বীদের উপাসনা নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নির্বিঘেœ পালনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ইতোধ্যেই বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো পাহারা দিচ্ছেন। কোন প্রকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বাংলাদেশে ঠাঁই দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এর আগে সকাল ৯ টায় খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনিবাসীর উদ্যোগে শিরোমনি শহীদ মিনার চত্বরে পথসভায় সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটোর সভাপতিত্বে ও গাজী মোর্শেদ মামুনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, জেলা সভাপতি রিয়াদ হোসাইন বেলাল, সেক্রেটারি মো. ইউসুফ ফকির সুমন, জাকারিয়া সেখ, আল ইমরান, আল আমিন, হাফেজ আব্দুস সাত্তার প্রমুখ। সকাল ১০ টায় ফুলতলা উপজেলাবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোল্লা আব্দুল আলিম ও পরিচালনা করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা সাইফুল হাসান, সকাল ১১টায় জামিরা মসজিদ চত্বরের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মাস্টার ফ ম আব্দুর রহমান ও পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম, দুপুর ১২টায় মিকশিমিল বাজারের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার গাজী সাইফুল্লাহ ও পরিচালনা করেন বিএম আলমগীর, দুপুর ২টায় চুকনগর বাসস্ট্যান্ডের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা মোকতার হোসাইন ও পরিচালনা করেন মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, বেলা সাড়ে ৩টায় বানিয়াখালী বাজারের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার আব্দুল হাকিম, বিকেল সাড়ে ৫টায় ডুমুরিয়া বাস্ট্যান্ডের মোল্লা সিরাজ চত্বরের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ ও পরিচালনা করেন মাওলানা মোসলেম উদ্দিন। এ সব পথসভায় সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সাড়ে পনের বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা হরণ করেছে। কথা বলার অধিকার ছিলনা কারও। একটিমাত্র দল ছাড়া অন্য কোন দলের কর্মকান্ড করতে দেওয়া হয়নি। দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্যদিয়ে দেশকে এক চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। এর মধ্যদিয়েই শিক্ষা নেওয়া উচিত কোন ব্যাপারে বাড়াবাড়ির পরিনাম কি হতে পারে। তিনি দেশের ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর আগামী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, একমাত্র কুরআনের আলোকে জীবন গড়লেই দেশে শান্তি আনতে পারে। মানব রচিত আইন দিয়ে কখনই শান্তি আসতে পারে না। এমনকি ইসলামেই রয়েছে অন্য সকল ধর্ম নির্বিঘেœ পালনের সুবর্ণ সুযোগ।
এ সব পথ সভায় মানুষের ঢল নামে। এক একটা পথসভা এক একটা সমাবশে রুপ নেয়। এলাকার শিশু-কিশোর, তরুন-যুবক, ছাত্র-শিক্ষক, বৃদ্ধ যে যেখান থেকে সংবাদ পেয়েছেন সেখান থেকে ছুটে এসেছেন। সকল ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের গন্তব্য ছিল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ারের পথসভাস্থল। দীর্ঘদিন পর প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে উপস্থিত অনেকেই আনন্দে উল্লাসে ফেটে পড়েন। কান্না জড়িত কণ্ঠে রফিকুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, সাদ্দাম, রনি, শহিদুল, মিলন আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, দীর্ঘ ১৫টি বছর আমাদের এই প্রিয় নেতাকে কাছে পাই না। জালেম ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের প্রাণপ্রিয় এই নেতাকে কারান্তরীন করে রেখেছিলেন। গত ৫ আগস্ট আবার বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নেতা জেল থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক। তার জন্য দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তার নেক হায়াত বাড়িয়ে দিন এবং আমাদের সেবা করার সুযোগ দিন।

https://channelkhulna.tv/

প্রেস রিলিজ আরও সংবাদ

কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে  ডি-নথির ব্যবহার প্রয়োজন : উপ-উপাচার্য

ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূতের খুবি ক্যাম্পাস পরিদর্শন ও মতবিনিময়

খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

খুলনায় জামায়াতে ইসলামীর শীতবস্ত্র বিতরণ

খালিশপুরে জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা

যানবাহন চালনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।