রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর মহাদেবপুর গান্ডারপাড়া এলাকার তামাক ব্যবসায়ী লেবু মিয়া (৪৭) হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ওরফে হাজি লিটনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন রংপুর সিটি করপোরেশনে পৌঁছেছে।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলা জিআর-৫১২/২০১৮ এর সম্পূরক অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬০নং আইন) এর ধারা ১২ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বুধবার সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, ইটভাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে ২০১৮ সালের ১৪ জুন রাতে লেবু মিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। হত্যার পর লেবুর মরদেহ পার্শ্ববর্তী মমিনপুর ইউনিয়নের মহেশপুর সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় তারা। পরে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলার আসামি বেলাল ডাকাত পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। অপর আসামি মমিদুল ইসলাম ও শাহীন আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লেবু হত্যায় কাউন্সিলর লিটনের নাম উল্লেখ করেন।
ওই বছরের ২১ জুন কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনকে প্রধান আসামি করে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে একই বছরের ১৬ অক্টোবর কাউন্সিলর লিটন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন কাউন্সিলর লিটন।