খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি খুলনাবাসির ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও জানমালের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় পাড়া-মহল্লায় পাহারার চৌকি বসিয়েছে নেতাকর্মীরা। দিনরাত পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন মার্কেট, মন্দির, গীর্জা পাহারা দিচ্ছে। তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা নতুন করে চক্রান্ত শুরু করতে পারে। চক্রান্তের মধ্যদিয়ে তারা এই বিজয়কে ছিনিয়ে নিতে পারে। বিভিন্ন এলাকায়, শহরে বন্দরে ভাঙচুর ও লুটপাট করছে তারা কেউ আমাদের দলের লোক নয়। তারা এই ছাত্রদের কেউ না। তারা দুর্বৃত্ত ও দুষ্কৃতকারী এবং তাদের লোক, যারা এদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। সজাগ ও সাবধান থাকবেন, বার বার আমাদের বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেট, সোহরোওয়ার্দী মার্কেট, হর্কাস মার্কেট, সোনাপট্টি, হার্ডমেটাল গ্যালারী পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ব্যবসায়ী দোকানপাট খুলে পুর্বের ন্যায় ব্যাবসা পরিচালনার জন্য আহবান জানিয়ে আরো বলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর খুলনার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও হামলা শুরু করে একশ্রেণীর দুর্বৃত্ত। শহর জুড়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক শুরু হয়েছিলো। এসময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, বিএনপি কোন ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডে জড়িত নয়, একশ্রেনীর লুটেরা ছাত্র জনতার বিজয়কে ম্লান করতে লুটপাট শুরু করেছে। লুটেরাদের খুজে বের করে আইনের মুখোমুখি দাড় করানো হবে। লুটেরাদের শাস্তি এদেশের মাটিতেই হবে। এরপর নেতৃবৃন্দ খালিশপুরস্থ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের ভষ্মিভূত বাড়ি পরিদর্শনে যান। খবর পেয়ে এসময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক আসেন। দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে যাওয়া বিএনপি নেতা বকুলের বাড়ি দেখে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করেন এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বস দেন। পুলিশ কমিশনার বিএনপি নেতাদের থানায় মামলা দায়েরের আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্ম আহবায়ক স ম আব্দুর রহমান, বদরুল আনাম খান, কাজী মাহমুদ আলী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানা আহবায়ক হাফিজুর রহমান মনি, খালিশপুর থানার আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর থানার আহবায়ক মুর্শিদ কামাল, খানজাহান আলী থানার আহবায়ক কাজী মিজানুর রহমান, সদর থানার সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানার সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, দৌলতপুর থানার সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেন, খানজাহান আলী থানার সদস্য সচিব আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আনজিরা খাতুনসহ বিএনপি, আঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়: খুলনা মহানগরীর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে খুলনা মহানগর বিএনপি’র জরুরী মতবিনময় সভা বুববার (৭ আগস্ট) রাত ৮টায় নগরীর ওয়েস্টার্ন ইন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক যথাক্রমে মনিরুল ইসলাম মামুন, মোঃ সোহাগ দেওয়ান, মোঃ আবুল হাসান, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স এর সভাপতি এস এনামুল হোসেন, শেখ আনোয়ার আলী, এস এম মহসিনউজ্জামান, শেখ আনোয়ারুল হক লাবলু, শ্যামল হালদার, মো: হুমায়ুন কবির (বাবু), মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ ইকবাল খান, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ হায়দার আলী, মোঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ মোবারক হোসেন, শিবনাথ ভক্ত, শংকর কর্মকার, মোমেন হোসেন, কাজী রিয়াজুল ইসলাম, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মাসুদুর রহমান, মোঃ আনোয়ার জাহিদ, শেখ মোঃ এনায়েত হোসেন, অধ্যাপক মোঃ আজম খান, মোঃ আঃ রাজ্জাক ভূইয়া, মোঃ আসলাম সরদার, মোঃ আঃ মান্নান, মোল্লা আবু জাফর, কবির আল আজাদ, মোঃ মোশারেফ হোসেন, মোঃ আজিজুল ইসলাম মৃধা, বোরহান উদ্দিন বিশ্বাস (লাভলু), মাহাবুবুর রহমান (স্বপন), মোঃ লাভলু খান, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ গোলাম আক্কাস স্বাধীন, মোঃ সোহরাব হোসেন মোমিন, গোপাল কুন্ডু, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ এজাজ আহমেদ, চম্পক কুমার দাস, ইমাম মেহেদী হাসান, মোঃ জাহিদ হোসেন, এস এম এমদাদুল হক, এস এম বাবুল হুসাইন, সরদার আশরাফুল টুয়েল, মাহফুজুল ইসলাম বাবুল। সভা পরিচালনা করেন সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ।