আম গাছের ভরা মুকুল দেখে সবারই মন জুড়িয়ে যায়। গাছে গাছে ভরা আমের মুকুলে মৌ মৌ ঘ্রাণ এলাকার চারপাশে ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাশ। আর কিছুদিন পরেই মধুমাসে গাছ ভরা এসব মুকুল থেকে গুটি আম রুপ নিবে পরিপক্ক আমে। সাতক্ষীরা তালা উপজেলাতেই আম গাছে এবার প্রচুর মুকুল এসেছে।
মুকুলের মিষ্টি গন্ধে পথচারীদের মন ছুঁয়ে যায়। তাই বাগানে সারিবদ্ধ আম গাছগুলোতে ভরা মুকুলে এ বছর একটু বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছে চাষিরা।
উপজেলার কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, চাষীরা তাদের বাগানগুলোতে আম গাছের বাড়তি পরিচর্যা করছে। এ বছর বাগানের প্রতিটি আম গাছে মুকুল বেশি ধরেছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও স্প্রে করছেন আম চাষীরা। আবহাওয়া ভালো হলে আমের ফলনও ভালো হয়। এ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব বেশি না হলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে অধিকাংশ বাগান মালিকরা।
হরিশ্চন্দ্রকাটি গ্রামে লক্ষন ঘোষ জানান, দিন বিশেক আগে তার বাগানের আম গাছগুলোতে মুকুল আসা শুরু করে। ১০ বিঘা জমিতে আমের বাগান প্রতিটি গাছের আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে যদি আবহাওয়া ভাল থাকে, আমের ফলন ভালো হবে। লাভের পরিমানও অন্যান্যে বছরের তুলনায় বেশি হবে ধারনা করছেন এই কৃষক।
কলিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করেন তিনি। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারো তিনি আমের বাগান লিজ নিয়েছেন। তিনি জানান,গাছে মুকুল আসার পরপরই বাগানের প্রতিটি গাছে পরিচর্যা শুরু করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কাছে আম বিক্রয় করে।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন জানান, দু’সপ্তাহ থেকে গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। এই অঞ্চলের আম খুবই সুস্বাদু। এ বছর চলতি মৌসুমে মাত্রা বাড়িয়ে ৭শ ৫০ হেক্টর আম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।