বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস করে ভারত থেকে আমদানির সুযোগ করে দেওয়ায় চালের বাজারের উর্ধগতি থেমে সামান্য কমেছে। তবে এখনও রয়েছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এদিকে গত সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা চাল খুলনার পাইকারি আড়তে পৌছালেও অধিকাংশ বিক্রেতারা কৌশলগত কারণে বিক্রি করছে না। প্রচুর পরিমাণ দেশি চাল স্টক থাকায় দাম কমে ক্ষতির আশংকায় ভারতের চাল বিক্রি থেকে নিজেদেরকে আড়াল রাখছে তারা।
খুলনার পাইকারি আড়ত সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে পাইকারি আড়তে প্রতি কেজি দেশি মিনিকেট ৫০/৫১, আঠাশ বালাম ৪৫/৪৬ ও স্বর্ণা ৩৯/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় মিনিকেট ৫৫/৫৬, বালাম ৪৬/৪৭ ও স্বর্ণা (মোটা) ৪০/৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ভারতীয় চালের মধ্যে স্বর্ণা ছাড়া অন্যগুলোর সরবরাহ তেমন নাই বলে জানা যায়।
নগরীর বড় বাজারস্থ নিউ শরিয়তপুর ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান খোকন খুলনা গেজেটকে জানান, চালের দাম নেমে যেতে পারে এই জন্য বাজারে ক্রেতারা খুব কম পরিমানে চাল কিনছেন। ভারতীয় চাল খুলনা পৌছালেও আমাদের ঘরে এখনও উঠানো হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পাইকারি বিক্রেতা জানান, ভারতীয় চাল বাজারে আসছে এক সপ্তাহ আগে। তবে স্টকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশি চাল থাকায় ভারতীয় চাল কেউ ঘরে তুলতে চাচ্ছে না। আর ভারতীয় চালের দামও বেশি রাখা হচ্ছে।