নতুন বছর উদযাপন করতে রোহিত শর্মাসহ পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। ওই মুহূর্তের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন এক ভক্ত।
ঘটনা ফাঁস হতেই রোহিতদের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জৈব সুরক্ষা ভাঙার কারণেই আপাতত আইসোলেশনে থাকতে হবে ৫ ভারতীয় ক্রিকেটারকে। কিন্তু এই ক্রিকেটারদের সিরিজের তৃতীয় টেস্টে খেলানোর জন্য দেন-দরবার শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। কিন্তু সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের ভেন্যু কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই স্বাস্থ্য বিধিতে পরিবর্তন আনবে না।
কুইন্সল্যান্ডে বর্তমানে কঠোর লকডাউন চলছে। ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু এখনকার ব্রিসবেন শহরের গাব্বাতে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে চতুর্থ টেস্ট খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতের দাবি, টানা অনেকদিন জৈব সুরক্ষা বলয় এবং কোয়ারেন্টিনে থাকছেন ক্রিকেটাররা। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে। কিন্তু ভারতের এসব যুক্তি মানতে রাজি নয় সেখানকার কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, সিডনি থেকে কুইন্সল্যান্ডে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে। ফলে সফরকারী দলকে অবশ্যই কোয়ারেন্টিন মেনে চলতে হবে। ব্যাপারটা স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপত্তি তুলেছে ভারত। তবে কুইন্সল্যান্ডের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জেনেট ইয়ং বলেছেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করব না। কারো জন্যই এক্ষেত্রে ছাড় নেই। অসুরক্ষিত স্থানে ভ্রমণ করলেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ‘
এদিকে রোহিত শর্মাসহ ৫ ক্রিকেটারের বাইরের রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া নিয়ে তুলকালাম চলছে। এমনকি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডও এ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। বিতর্কে ঘি ঢালতে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াগুলোও। তারা দাবি করেছে, রোহিতসহ পাঁচ ক্রিকেটার ছাড়াও বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়াও করোনাবিধি ভেঙেছেন।
অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্র ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ কোহলি ও হার্দিকের একটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছে, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে কোহলি ও হার্দিক একতি শপিং মলে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। তারা কয়েকজন সমর্থকের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। তাদের কারো মুখেই মাস্ক ছিল না।
রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থদের ডিনার করতে যাওয়ার ঘটনা দুই দেশের বোর্ড তদন্ত শুরু করলেও কোহলিদের ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। ফলে ওই ঘটনায় কোহলিদের শাস্তি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এমনকি ওই ঘটনার পর সীমিত ওভারের সিরিজ ও প্রথম টেস্ট খেলে ভারতে ফিরে গেছেন নিয়মিত অধিনায়ক কোহলি।
এছাড়া অ্যাডিলেড টেস্টের আগে নাকি কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটার কফি শপে গিয়েছিলেন। দুজন ভেতরে গিয়ে অর্ডার দেওয়ার পর সবাই মিলে বাইরে একতি টেবিলে বসেন। অজি মিডিয়ার দাবি, অর্ডার দিতে যাওয়া দুই ক্রিকেটার মাস্ক পরেননি।
অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়ায় এসব খবরে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খেপেছে ভারতীয় মিডিয়া। এসব দাবিকে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে। তাদের দাবি, ভারতীয় দল ব্রিসবেনে খেলতে আপত্তি জানানোয় বানোয়াট খবর প্রচার করছে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াগুলো। ভারতীয় মিডিয়ার দাবি, পরের ম্যাচের আগে অজি মিডিয়াগুলো একধরনের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু করেছে।