মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যাবহারে বাংলাদেশ-ভারত প্রোটোকল রুটে নৌপথে ব্যাবসায়ীক ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী কলকাতা থেকে পন্য নিয়ে প্রথম ট্রায়াল জাহাজ বাংলাদেশী পতাকাবাহী “এম.ভি রিশাদ রায়হান” মোংলা বন্দরে।
বন্ধু প্রতিম দেশ ভারতের কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে বাংলাদেশে মোংলা সমুদ্র বন্দরের উদ্দোশ্যে ১ আগষ্ট ছেড়ে আসে বানিজ্যিক এ জাহাজটি।এ বন্দরে পন্য খালাসের জন্য জাহাজটি সোমবার সকালে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নঙ্গর করেছে।দুই দেশের ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী এদিন সকাল সাড়ে ১১ টায় পরিক্ষামুলক আনুষ্ঠানিকভাবে পন্য খালাস কাজ শুরু হয়েছে।
বন্দর সুত্রে জানায়,গত ১ আগস্ট রিশাদ রায়হান নামের জাহাজটি ভারতের কোলকাতা বন্দর থেকে দুই ধরণের মেশিনারিজ পন্য নিয়ে ছেড়ে আসে।
বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষযয়ক ট্রানজিট চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে ৪টি ট্রায়াল রানের প্রথমটি শুরু হবে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম ট্রায়াল জাহাজ দেশীয় পতাকাবাহী এম ভি রিশাদ রায়হান পন্য খালাসে বন্দর জেটিকে অবস্থান করছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপরে চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ও ভারতের সহকারী হাই-কমিশনার ইনদার জিৎ সাগর সহ তার সফরসঙ্গী সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তাগন ছাড়াও বন্দর কর্তৃপক্ষের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ মোংলা বন্দর জেটিতে উপস্থিত থেকে এর শুভ উদ্বোধন করেন।
স্থানীয় জ্যাক শিপিং এজেন্ট ও সুইফট লজিস্টিক সার্ভিসিং লিঃ সি এন্ড এফ এর মাধ্যমে পন্যগুলো খালাস হয়েছে।
প্রথমে মোংলা-তামাবিল এবং মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের পন্য খালাসের জন্য ট্রানজিট কার্গোটি মোংলা বন্দরে ৯ নম্বর জেটিতে অবস্থান করেছে। দুইটি বন্দরের সাথে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পন্য আমদানী-রপ্তানির পরিক্ষামুলক ভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে।
জাহাজটি মার্কস লাইনের ২টি কন্টেইনারের মধ্যে ১টি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০টি প্যাকেজে ১৬.৩৮০ মেঃ টন লোহার পাইপ এবং অপর কন্টেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে ৮ ০৫ মেঃ টন প্রিফোম রয়েছে।
এ পন্যগুলোর মধ্যে একটি কন্টেইনার মোংলা বন্দর হয়ে সড়ক পথে বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের নংপোতে যাবে। অপর কনটেইনারে প্রিফোম নিয়ে খিজিরবাজার থেকে মোংলা হয়ে কুমিল্লার বিবিরবাজার পথ দিয়ে তামাবিল স্থল বন্দরে গমন করবে।
বন্দর সুত্রে আরো জানায়, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রোটোকল রুটে নৌপথে দুই দেশের ব্যাবসায়ীক গতি বাড়ানোর লক্ষে এ উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে।এর ফলে দু’ দেশের অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সু-সম্পর্ক উন্নয়নে আরো ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।তাই ভারত থেকে নৌপথে পন্য পরিবহনে মোংলা বন্দর ব্যাবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তাই ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমস (জেসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সে অনুযায়ী আজ এর কার্যক্রম কাজ শেষ হয়েছে।আর এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব পুর্ন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হলো।