নিউজিল্যান্ড সফরের আগেই মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছিলেন, দেশে ফিরে কিছুদিন নড়াইল কাটিয়ে ঘুরতে বের হবেন সপরিবারে। বিশ্বকাপের আগে চনমনে হয়ে উঠতে হাওয়া বদল তাঁর ভীষণ জরুরি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক। মাশরাফি এখন ভারতের মানালিতে।
মাশরাফি যখন মানালির অপরূপ সৌন্দর্যে ডুব দিয়েছেন, তখন শুরু হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লিগের প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামছে আবাহনী। শুরুতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা পাচ্ছে না তাদের বড় তারকা মাশরাফিকে। লিগের শুরুর কিছু ম্যাচ তাঁর খেলার কথাও নয়। তবে আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ যেটি বললেন, একটু অবাকই হতে হলো। তিনি জানেনই না মাশরাফি কবে গেছেন ভারতে, ‘কথা ছিল ১০ তারিখের পর মাশরাফি সব ম্যাচ খেলবে। ভেবেছিলাম দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই মাশরাফিকে পাব। সে দেশের বাইরে। আমি জানিও না কবে গেছে, আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি সেভাবে। সে আসার পর হয়তো জানা যাবে কবে থেকে খেলবে। হয়তো আমাদের প্রথম তিন ম্যাচ খেলবে না।’
মাশরাফি যখন প্রিমিয়ার লিগ শুরু করবেন, দলে তাঁর ভূমিকা কী হবে? প্রশ্নটা এ কারণেই আসছে, গতবার কাগজে-কলমে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির অধিনায়ক ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু মাঠে ও মাঠের বাইরে অধিনায়কত্ব আসলে মাশরাফিই করেছেন। ছায়া অধিনায়ক হয়ে লিগের শিরোপা জিতেছেন। এবারও কি সেটিই হবে? মাহমুদ বললেন, তাঁরা অনুরোধ করবেন মাশরাফিকে অধিনায়কত্ব করতে, ‘গতবার মাশরাফিই ছিল। নামে (নাসির) ছিল আর কী! মাশরাফি থাকা একটা বড় ব্যাপার। নাসিরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিল গতবার। এবার মোসাদ্দেকও (অধিনায়ক হিসেবে) খারাপ হবে না। তবে মাশরাফি এলে ওকে অনুরোধ করা হবে অধিনায়ক হতে।’
মাশরাফি না খেললেও আবাহনী দলটা রুবেল, সাব্বির, মোসাদ্দেকদের নিয়ে হয়েছে যথেষ্ঠ তারকা ঠাসা। আবাহনী তারকাপূর্ণ হলেও এবার লিগে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল খেলবেন না। প্রিমিয়ার লিগের পুরোটা খেলবেন না জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারই। তবে যতটুকুই খেলবেন, লিগটা বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতি হবে বলে জানালেন মাহমুদ, ‘প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খুব ভালো উইকেটে খেলা হয়। ব্যাটিংবান্ধব হয়। ইংল্যান্ডেও ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট হবে। একটু বেশি বাউন্স থাকতে পারে হয়তো। এরপরও আমাদের মিরপুরের উইকেট এখন খারাপ না। ফতুল্লায় অনেক দিন যাওয়া হয় না। তবে কদিন আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ দেখেছি। খারাপ লাগেনি। বিকেএসপিতে সব সময়ই খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট থাকে। আসলে ম্যাচ খেলা একটা অনুশীলন। ৫০ ওভারের ম্যাচের একটা অভ্যাস হয়ে যাবে। বোলারদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের চিন্তা মাথায় রেখে তাদের যা যা অনুশীলন দরকার, সেগুলো এখানে করতে পারে। ব্যাটসম্যানরা যদি লম্বা ইনিংস খেলে, রান করে, আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’