বিশ্বের বৃহৎ পাঁচ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি বছরের আরও পরের দিকে নয়াদিল্লি আসতে পারেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কয়েক মাসের উত্তেজনা শেষে বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত থেকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর চীনের এই প্রেসিডেন্টের নয়াদিল্লি সফরের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
চলতি বছর ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে নয়াদিল্লির প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন রয়েছে বলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ২০২১ সালে ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারতে চীন অংশ নেবে কিনা, জানতে চাইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, নয়াদিল্লিতে ব্রিকসের সম্মেলনে বেইজিংয়ের সমর্থন রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে শি জিনপিং ভারত সফরে আসতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে বেইজিং। তিনি বলেন, আমরা চলতি বছরে ব্রিকস সম্মেলন আয়োজনে ভারতের প্রতি সমর্থন জানাই। ভারত এবং অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার তিন ভিত্তি— অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক খাতের উন্নয়নে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।
করোনাভাইরাস মহামারিকে হারিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা আবারও সচল করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহায়তায় ব্রিকস প্রস্তুত আছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনা এই কর্মকর্তা।
ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই জোট একটি বৈশ্বিক সহযোগিতা ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিকসের সংহতি, শক্তিশালী পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ক্রমবর্ধমান প্রভাব আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে স্থিতিশীলতার জন্য গঠনমূলক শক্তি হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, চীন ব্রিকসের পারস্পরিক সহযোগিতা ব্যবস্থার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। ব্রিকসের কৌশলগত অংশীদারিত্ব, সংহতি ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের অবস্থান সবসময় ইতিবাচক।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লির সুষমা স্বরাজ ভবনে ব্রিকসের কার্যালয়ে এই জোটের আগামী সম্মেলনের ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভারত সফরের বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি ওয়াং ওয়েনবিন।