চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনে আরও ১ হাজার ১১ রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টায় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানায়, কুয়াশার কারণে আজ একটু দেরি করেই জাহাজ ছেড়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেলে ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের এই দলটিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। রাতে নগরীর বি এ এফ শাহীন কলেজে তাদের রাখা হয়। গতকাল সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভাসানচর যান আরও ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৭০৯ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় শিবির ছেড়ে নোয়াখালীর দ্বীপটিতে গেছেন।
দফায় দফায় কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নোয়াখালীর ভাসানচরে। ২০২০ এর ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় স্থানান্তর করা হয়েছে ৩ হাজার ২৪২ জনকে। ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
২০২০ এর ৪ ডিসেম্বর-২০২১ এর ১৬ ফেব্রুয়ারি
প্রথম দফা: ১,৬৪২ জন
দ্বিতীয় দফা: ১,৮০৪ জন
তৃতীয় দফা: ৩,২৪২জন
চতুর্থ দফা: ৩,০২১ জন
মোট: ৯,৭০৯ জন
ভাসানচরে২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।