আলেম-ওলামারা কোনো আন্দোলনে যাবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সংবিধানের বাইরে না গিয়ে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না হেনে সমস্যার সমাধানে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।যাত্রাবাড়ির ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের থাকবে কী না সেটি আলেম-ওলামারাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশব্যাপী চলমান অস্থিরতা নিরসনে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সচিবালয়ে (১৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো ভাস্কর্য থাকবে না এমন কোনো প্রস্তাব আলেম-ওলামারা রাখেননি। তাদের প্রস্তাব ছিল ৫ দফা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন-
‘রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের থাকবে না, এমন কোনো কথা তারা বলেননি। আলেম-ওলামাদের প্রস্তাব হলো, ওই জায়গায় একটি মুজিব মিনার করা যায় কী না, সে বিষয়টি সরকার ভেবে দেখতে পারে।’
সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। এই উত্তরের পর, সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন, সরকার কি নতজানু নীতিতে চলছে? এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নতজানু নীতিতে চলার প্রশ্নই ওঠে না। আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির জটিলতা নিরসন করা হবে।
গতকাল সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর শীর্ষ আলেমরা। বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও উপস্থিত ছিলেন।
গতাকলের বৈঠক রাত ৯টায় শুরু হয়ে তা শেষ হয় সাড়ে ১১টায়। বৈঠক শেষে কোন সিদ্ধান্ত কিংবা আলোচনার কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলেনি কোন পক্ষ। বলা হয়, মঙ্গলবার সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
বৈঠকে কওমি মাদরাসার সম্মিলিত শিক্ষা বোর্ড হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে শীর্ষ আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন গওহরপুরী ও মাওলানা নূর আহমদ কাসেম।