সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ভৈরবের বাঁধে তিন বিলে জলাবদ্ধতা | চ্যানেল খুলনা

ভৈরবের বাঁধে তিন বিলে জলাবদ্ধতা

তরিকুল ইসলামঃ খুলনার রূপসায় ভৈরব ও আঠারোবাকী নদীর ১৭ কিলোমিটার খনন কাজ শেষ হলেও ভৈরবে দেওয়া বাঁধ কেঁটে জোয়ার-ভাটা উম্মুক্ত না করায় রূপসা ও তেরখাদা উপজেলার তিন বিল জলাবদ্ধ রয়েছে। অপরদিকে নদীর জোয়ার-ভাটা ওই বাঁধে এসে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বাঁধের বাইরে ভৈরবের প্রায় ৫ কিলোমিটারে নতুন করে চর জেগে উঠছে। পলি পড়ে উঁচু হচ্ছে নদীর তলদেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রূপসা উপজেলার ভৈরব নদের সাড়ে ৫ কিলোমিটারসহ আঠারোবাকী নদী থেকে তেরখাদার ছাগলাদাহ স্লুইস গেট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার নদী খনন কাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়। পানি উন্নয়নবোর্ডের এ কাজ তিন বছর মেয়াদে দেয়া হয় এআরকে গ্রুপ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনার জন্য তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয় তোফায়েল গ্রুপকে। তিন বছরের স্থলে খনন কাজ শেষ হতে লাগে পাঁচ বছর। খননকৃত নদীটি বিআরএম এর আওতাভূক্ত থাকায় (জোয়ার-ভাটা চলমান) গত দুই বছর আগে খনন কাজের স্বার্থে ভৈরব নদের রূপসা উপজেলার শ্রীরামপুর অংশে বাঁধ দিয়ে জোয়ার-ভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে নদী সংলগ্ন পদ্ম বিল, নর্নিয়া বিল ও পুটিমারী বিলে শুরু হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। একারণে বিশাল এ তিন বিলের প্রায় লক্ষাধিক একর জমি অনাবাদি রয়েছে এ দুই বছর। এদিকে খনন কাজ শেষ করে গত সেপ্টেম্বরে তদারকি প্রতিষ্ঠান তোফায়েল গ্রুপকে কাজ বুঝে দিলেও অজ্ঞাত কারণে এআরকে প্রতিষ্ঠান ভৈরবে দেয়া বাঁধ কেটে জোয়ার-ভাটা উম্মুক্ত করছেনা। ফলে ওই তিন বিলের পানি নিস্কাশন না হওয়ায় কৃষিজীবীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে ভৈরবের জোয়ার-ভাটা শ্রীরামপুর বাঁধে এসে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ওই বাঁধ থেকে মাইঝের খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫কিলোমিটারে নতুন করে চর জেগে উঠেছে। পলি জমে উঁচু হচ্ছে নদীর তলদেশ। এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে নতুন করে চর জেগে ওঠা ভৈরবের ওই পাঁচ কিলোমিটার আবারো খনন করা লাগবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এআরকে প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন বলেন, খনন কাজ শেষ হলেও নদী সংলগ্ন বিলের পানি নিস্কাশনের খালগুলির মুখ বন্ধ করা হচ্ছে। তা না হলে জোয়ারের পানি ওইসব খাল দিয়ে বিলে উঠে ফসলের ক্ষতি হবে।
এদিকে ওইসব বিলের চাষীরা জানিয়েছেন, জোয়ার-ভাটা শুরু হলে বিলে পানি ওঠার চেয়ে নেমে যাবে বেশি। তাছাড়া এখন নদীতে পানির খুব একটা চাপ নেই। নেই প্লাবনের কোন আশংকা। এছাড়া অধিকাংশ খালের মুখে স্লুইচগেট রয়েছে।
এব্যাপারে রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার বলেন, কাজ শেষ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত বাঁধ অপসারণের ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।

https://channelkhulna.tv/

বিশেষ প্রতিবেদন আরও সংবাদ

২০ বছরেও শুরু হয়নি শিবসা নদী খননের কাজ: অবৈধ দখল ও গোচারণ ভুমিতে পরিণত

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলেদের সুমদ্র যাত্রা

মন্নুজান প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর ভাই, ভাতিজিরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে গড়ে তুলেছেন অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য

বিল ডাকাতিয়া পানির নীচে, মাছ চাষীদের সর্বনাশ

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

খুলনার ছয়টি আসনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার আশায় আওয়ামীলীগে নতুন মুখ

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।