চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃযারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছেন বলে মন্তব্য করেছেন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিয়াউর রহমানকে অবৈধ প্রেসিডেন্ট বলে করা মন্তব্যের পাল্টা জবাবে এ মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।
জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ‘বৈধ প্রেসিডেন্ট’ বলে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সংসদে কোনো কারণ ছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের কথায়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নাকি অবৈধ। ১৯৭৮ সালের জুন মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের জনগণ ভোট দিয়ে জিয়াউর রহমানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিল। এই আওয়ামী লীগের মতো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ তারিখে রাতে ডাকাতি করে নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান অবৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এ দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর যারা এই কথা বলেন (জিয়াউর রহমান বৈধ প্রেসিডেন্ট নন) তারা আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে সরকারে রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার দোষ অন্যের ওপর চাপাতে এখন এসব কথা বলছেন বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) মনে দুর্বলতা রয়েছে বলে আজকে এসব কথা বলছেন। এই কারণে যে, এই সরকার অনির্বাচিত, রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে রয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে অবৈধভাবে টিকে আছে সেই দোষ ধামাচাপা দিতে চায়। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চায়। এটা আওয়ামী লীগ সব সময় করে আসছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাকশাল করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে এ দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রেকর্ড হচ্ছে, গণতন্ত্র হত্যা এবং বিএনপির রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তাই আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায় জোর করে রয়েছে, অবৈধভাবে রয়েছে। তার জন্য তারা আজকে আবোল-তাবোল কথা বলে।’
দেশ-জাতি আজকে এই অবৈধ সরকারের যাতাকলে নিষ্পেষিত বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অর্থনীতি আজকে ধ্বংসপ্রাপ্ত, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে, সামাজিক অশান্তি, নারী-শিশু নির্যাতন, আজকে আমরা বালিশ-পর্দার গল্প শুনি। দুর্নীতি কোথায় গেছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে জনগণ এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। এই মুক্তি একমাত্র বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো দিতে পারে। তাই মহিলা দলসহ আমাদের বিরাট দায়িত্ব গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা। জেলে রেখে গণতন্ত্র মুক্তি করা সম্ভব নয়। আপনারা যে যে অবস্থানে আছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যে আপনারা সকলে প্রস্তুত থাকুন। ইনশাল্লাহ দেশে স্বৈরাচার অতীতে টেকেনি, এবারও টিকবে না। সময় আসছে, জনগণ তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।