“রুটে পরিবর্তন, ভোলার গ্যাস খুলনার বদলে আগে যাবে ঢাকায়” গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ করার লক্ষ্যে ২০১২ সালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে খুলনার আড়ংঘাটা পর্যন্ত ১৬৫ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। স্থাপন করা হয় গ্যাস ট্রান্সমিশন ল্যান্ড ফিল্ডও। এরপর এক যুগ কেটে গেলেও খুলনার কোথাও সরবরাহ করা হয়নি গ্যাস। বছরের পর বছর এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে আসলেও তা থেকেছে উপেক্ষিত। অতি সম্প্রতি ব্যবসায়ীরা আবারও তাদের দাবি জোরদার করলে নতুন করে গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি। প্রথম পর্যায়ে খুলনা বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় সরবরাহ করার কথা এ গ্যাস। কিন্তু এরই মধ্যে ভোলা-বরিশাল অংশ অপরিবর্তিত রেখে পেট্রোবাংলা ভোলা-বরিশাল-ঢাকা পাইপলাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা আত্মঘাতি ও খুলনা অঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুকৌশলে ধ্বংসের নীল নকশা মাত্র।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিএনপি প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বরিশাল-খুলনা পাইপলাইনও হবে, তবে প্রথম ধাপে ভোলা-বরিশাল-ঢাকা পাইপলাইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুলনা বিএনপি অবিলম্বে গৃহিত সিদ্ধান্ত পরিবর্তণ করে প্রথম ধাপে খুলনায় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে আরো বলেন, চলতি বছরের জুন মাসে খুলনায় গ্যাস সরবরাহের খবরে উচ্ছ্বসিত ছিলো এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা। উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি বিসিক শিল্প এলাকায় বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার আশা ছিলো তাদের। যেসব প্রতিষ্ঠান গ্যাস সংযোগের জন্য আবেদন করেছে, ইতিমধ্যেই সে সকল প্রতিষ্ঠান এনওসিও সংগ্রহ করেছে। খুলনা শিল্পাঞ্চলের অনেক প্রতিষ্ঠান লোকসানের কারণে বন্ধ হয়েছে। গ্যাস সংযোগ দেয়া হলে বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও চালু হবে। সেইসঙ্গে ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠানগুলোও লাভের মুখ দেখবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান হবে। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে সম্ভাবনা বাড়বে। নেতৃবৃন্দ প্রথম ধাপে খুলনায় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় খুলনাবাসিকে সাথে নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।
বিবৃতিদারা হলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবু প্রমূখ।