সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং... | চ্যানেল খুলনা

ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং…

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃআকস্মিক এক সফর। নানা আলোচনা। কী বার্তা দিয়ে গেলেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের দুইদিনের সফরে দৃশ্যত সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ভ্যাকসিন কূটনীতি। কিন্তু সফরটি যে শুধু করোনাকেন্দ্রিক ছিল না তা একেবারেই স্পষ্ট। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন শ্রিংলা। দুই পররাষ্ট্র সচিবের আলোচনাতেও এসেছে নানা বিষয়। বিশেষ করে ভারতে ফেসবুকে, নিউজ পোর্টালে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে সে ব্যাপারে পরস্পরের দৃষ্টি আকর্ষণের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

সীমান্ত হত্যা আর রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেছেন দুই পররাষ্ট্র সচিব।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বাড়ার কারণে ভারত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষকরে বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে প্রচেষ্টা জোরদার করেছে সাউথ ব্লক। এরই অংশ হিসেবে শ্রিংলা ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে। ভারতীয় গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিস্তা প্রকল্পে একশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। এ বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের অন্যতম এজেন্ডা ছিল। বাংলাদেশে চীনের সাম্প্রতিক আরো কিছু বিনিয়োগ ভারতের ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই দেশটির মিডিয়ার একাংশের খবর। এর বাইরেও এ সফরে বিশেষ বার্তার ইংগিত পাওয়া গেছে। তবে ঢাকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সফর নিয়ে অতি উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই।

ওদিকে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের বার্তা দিয়ে বুধবার দু’দিনের সফর শেষে ইয়াংগুনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বিদায় বেলা বলেন, সফরটি সংক্ষিপ্ত ছিল, কিন্তু খুবই সন্তোষজনক সফর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ আর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিব্যক্তি ছিল এমন ‘এসব আলোচনায় মনে হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কোনো সংকট নেই, বরং আমরা যে সোনালী অধ্যায় রচনা করেছি তা সঠিকই আছে।’ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে ভোজ-বৈঠক হয়। তার আগে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক এবং আলাদাভাবে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সর্বত্রই দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলেছেন শ্রিংলা। পর্যবেক্ষকরা অবশ্য হাই প্রোফাইল এ সফর নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণ দিচ্ছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে একদিন আগে ঢাকায় আসা ভারতের বিদেশ সচিব শ্রিংলার সফরটি নিয়ে শুরু থেকেই অস্পষ্ট ছিল। তিনি কখন আসছেন, কে তাকে রিসিভ করবে, কে বিদায় জানাবে? সাধারণ এসব তথ্য প্রদানেও রহস্যজনক গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টা দেখা গেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছালে শ্রিংলাকে রিসিভ করেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলি দাশ। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের দাবি মতে ‘রেগুলার ভিজিট’ হলে সাধারণত কারও এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানানো এবং বিদায় দেয়ার কথা। ঝটিকা সফর হলেও কূটনৈতিক রেওয়াজ অনুযায়ী অভ্যর্থনা বা বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা থাকে।
যদিও বিদায় বেলায়ও ভারতের বিদেশ সচিব সফর এবং আলোচনা অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে দৃশ্যমান তৃপ্তি নিয়ে গেছেন। সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়নি ভারতের বিদেশ সচিবের। মোমেন এক সফরে সিলেটে অবস্থান করছেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গেও সাক্ষাতের আনুষ্ঠানিকতা হয়নি শ্রিংলার। নাগরিক সমাজের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি শ্রিংলার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আলতামাস কবির, মোজাম্মেল বাবু।

শ্রিংলা যা বলেছেন: বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, আমার সফরটি অত্যন্ত সন্তোষজনক সফর। খুব অল্প সময়ের সফর। গতকাল আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে তিনি কারো সঙ্গে দেখা করছেন না। আমাকে সাক্ষাৎ দিয়েছেন। নিজের সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যে কারণে এসেছি তা হলো, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন কোভিড সময়ে তেমন যোগাযোগ হচ্ছে না। তবে সম্পর্ক অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে হবে। আমি প্রাথমিকভাবে এসেছি। আরো সফর বিনিময় হবে।

শ্রিংলা বলেন, কোভিড মোকাবিলায় আমরা কী করছি তা আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। বাংলাদেশের মতো আমাদেরও বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। কোভিড মোকাবিলায় আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। সৌভাগ্যক্রমে, মৃত্যুহার কম, সুস্থতার হার উচ্চ। আমরা কাজ করছি। আমরা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে (অ্যাডভান্সড) আছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা অনেক বড় পরিসরে ভ্যাকসিন উৎপাদনে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, বিশ্বের মোট ভ্যাকসিনের ৫০%ই উৎপাদন করে ভারত। যখন ভ্যাকসিন তৈরি হবে, তখন বিনা দ্বিধায় বলা যায় আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, অংশীদার ও প্রতিবেশী দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব যা বললেন: এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাস পরবর্তীতে দুই দেশের সম্পর্ককে কীভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছি। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে ভারতে যে প্রচেষ্টা চলছে, বিশেষ করে ভারতে বেশ কিছু ভ্যাকসিন উৎপাদন হচ্ছে, ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিশেষত ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতে যে ভ্যাকসিনগুলো উৎপাদন হচ্ছে তা শুধু ভারতের জন্য নয়। প্রথমদিকেই বাংলাদেশের জন্য ভ্যাকসিন অ্যাভেলেবল করা হবে। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোরও যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। তাই তাদের সঙ্গে কোনো কোলাবোরেশনের উদ্যোগ নেয়া যায় কিনা তারও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় দুই দেশের মধ্যে যেসব ভালো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেমন বেনাপোল-পেট্রাপোলে বাণিজ্য পুরোপুরি আটকে গিয়েছিল, অচলাবস্থা কাটাতে মালামাল পরিবহনে বিকল্প উপায়ে ট্রেনের মাধ্যমে সচল করা হয়েছে। এ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এখন আস্তে আস্তে স্থলপথের বাণিজ্যের পথগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কোভিডের মধ্যেই দুই দেশের ট্রান্সশিপমেন্টে বন্দর থেকে ল্যান্ড রুটে ভারতের পূর্বাঞ্চলে মালামাল পরিবহনের যে ট্রায়াল রান হয়েছে তা নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় থাকা বড় প্রকল্পগুলোর কিছু কিছু কাজ থেমে গিয়েছিল। এসব প্রকল্পে গতি আনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে এয়ার বাবলের প্রস্তাব ভারতের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারত কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ ধরনের এয়ার বাবল শুরু করেছে। ভারত এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এটি শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এটা শুরু করা যাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে প্রচুর সংখ্যক ক্রিটিক্যাল রোগী ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান বা চিকিৎসা করছে তারা আবার চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। আবার ভারতের যে বিশেষজ্ঞ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে তারা আসা-যাওয়া শুরু করতে পারবে। কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুত্থানে তাদের প্রয়োজনীয়তা আরো প্রয়োজন হতে পারে। এসব বিবেচনায় দুই দেশের মধ্যে এয়ার বাবল প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হতে পারে। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নেতৃত্বে যৌথ পরামর্শক কমিটি কাজ করবে। এই কমিটির বৈঠক দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যেসব প্রকল্প চলমান আছে তার পর্যালোচনা করা যাবে। যেসব প্রকল্পে আরো গতি নিয়ে আসা প্রয়োজন মনে হবে সেগুলোকে কমিটি থেকে দিকনির্দেশনা দেয়া সম্ভব হবে। সচিব বলেন, মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কোভিডের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। এখন বাকি অনুষ্ঠানগুলো কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সে ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের সদরদপ্তরসহ বিভিন্ন ক্যাপিটালে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজনে ভারতের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার কথা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্‌যাপন হবে। এ উপলক্ষেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে পরিকল্পনার বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে যেসব অস্বস্তিকর বিষয় আছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার বিষয়ে ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। চেষ্টা করা হবে আগামী মাসে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক আয়োজনের। বৈঠকের আগে বিএসএফ’র নতুন ডিজিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন যাতে করে এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বন্ধ করা যায়। চলতি বছরের প্রথম ছয় সাত মাসে এই মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের চেয়ে বেড়ে গেছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে আটকে থাকা বাংলাদেশি বিশেষত ২৬ জেলের আটকে থাকার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তাবলীগ জামাতে যাওয়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয় নিয়েও ভারতের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। বাংলাদেশ তখন তাদেরকে সমর্থন দিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন পাস করার বিষয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু কিছু কিছু স্থায়ী সদস্যের কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমরা ভারতের কাছ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহায়তা চেয়েছি।

নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বার্তা নিয়ে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশে এসেছেন। সেই বিশেষ বার্তাটা কি জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কোভিডের মধ্যে যেহেতু কোনো দেশেরই সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই। সেটার একটা ব্রেকথ্রু হিসেবেই দুই দেশের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে। স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের পরামর্শক্রমেই হর্ষবর্ধন শ্রিংলা কোভিডের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন। এটাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ বার্তা যে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এতটাই বিশেষ গুরুত্ব দেন যে, এই পরিস্থিতিতেও তারা বড় লেভেলের প্রতিনিধি বাংলাদেশে পাঠালেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আমাকেও নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যৌথ পরামর্শক কমিটির বৈঠকের আগেই হয়তো নয়াদিল্লি যাবো। তিনি বলেন, সামপ্রতিক সময়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বা সোশ্যাল মিডিয়াতে যে সমস্ত খবর দেখতে পেয়েছি তার বিষয়ে আমরা পরস্পরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা একমত হয়েছি, দুই দেশের মেইনস্ট্রিম সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সম্পর্কের যে পর্যালোচনা সে অনুসারে আমরা উন্নততর একটা অবস্থানের মধ্যেই আছি। আসলে কোভিডের মধ্যে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে না পারায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়েছে।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের ওপর ডিম নিক্ষেপ

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

কালীগঞ্জে ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে যুবক আটক

পাটের ব্যাগ পুনরায় সর্বত্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছি : সাখাওয়াত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।