চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমণিরামপুরে মৎস্য ঘের মালিক কর্তৃক অভয়নগর উপজেলার দরিদ্র পরিবারের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের রেশ না কাটতেই এবার স্কুল শিক্ষক কর্তৃক ডুমুরিয়া উপজেলার অপর এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রী (১২) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করার পর পুলিশ ধর্ষক স্কুল শিক্ষককে আটক করে গতকাল বুধবার আদালতে পাঠিয়েছে।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, কালিপূজা উপলক্ষে গত ২৭ অক্টোবর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক ছাত্রী তার মায়ের সাথে পূজা দেখতে মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মামা খোকন বিশ্বাসের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন বিকেলে পাঁচাকড়ি গ্রামের কালিপদ রায়ের পুত্র স্কুল শিক্ষক শিবপদ রায় (৪৫) ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে কালিপূজার খরচ দেয়ার লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে নিয়ে শিবপদ ওই প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে উক্ত ঘটনা কাউকে না বলতে তাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু ওই প্রতিবন্ধী তার মামার বাড়িতে ফিরে ঘটনা সবাইকে খুলে বলে। পাষবিক নির্যাতনের শিকার ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। সে ওই এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। অপরদিকে ধর্ষকের বাড়ি মণিরামপুরে হলেও তিনি ডুমুরিয়ার এইচএম পি কে কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর ধর্ষক পরিবারসহ স্থানীয় একটি চক্র বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে দেয়নি। এমনকি উক্ত ঘটনাকে পুঁজি করে চক্রটি ধর্ষকের নিকট থেকে লাখ টাকার একটি চেক নিয়ে এলাকায় কথিত শালিসী বৈঠক করে বলে অভিযোগ। আর এমন ঘটনা জানার পর পুলিশ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই ভিকটিককে গত ১২ নভেম্বর রাতে উদ্ধার করে মণিরামপুর থানায় নিয়ে আসে। এরই মধ্যে আটক করা হয় ধর্ষক শিবপদ রায়কে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হয়েছেন এসআই জামাল উদ্দিন। ওসি জানান, গতকাল বুধবার ধর্ষককে আদালতে সোপর্দ করার পাশাপাশি ভিমটিম ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে যশোরে পাঠানো হয়েছে।