চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনিয়ম-নীতি না মেনে টেন্ডার ছাড়াই মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন সীমানায় যশোর পুলেরহাট-সাতক্ষীরা সড়কের দুই পাশের লাখ লাখ টাকার সরকারি গাছ ও বড় ডাল কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় আব্দুল আজিজ ও আমিন নামে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তির নেতৃত্বে চলছে গাছ এবং ডাল কাটার মহোৎসব। অবশ্য ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে বলেন, সড়কে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশে তারা কেবল দৈনিক হাজিরা মজুরির শর্তে এ গাছের ডাল কাটাচ্ছেন। অথচ স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য বললেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
সরেজমিন গতকাল শনিবার দুপুরে সড়কের বড় রেন্ট্রি গাছের প্রায় সব ডাল কেটে ফেলার কারণ জানতে চাইলে কর্মরত শ্রমিক সিদ্দিকুর রহমান ও শহীদসহ একাধিক গাছ কাটা শ্রমিক দাবি করেন, তারা কেবল মজুরি হিসেবে কাজ করছেন। তারা আসল কারণ জানতে সামনে গিয়ে আব্দুল আজিজ ও আমিনের সাথে কথা বলতে বলেন। পুরো গাছ কর্তনের পূর্বে এভাবে প্রায় শতাধিক গাছের ডাল কাটার চিত্র চোখে পড়ে। আবার কর্তন করা গাছের বড় অংশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে।
জানতে চাইলে লাল পতাকা হাতে দাঁড়ানো গাছ কাটার নির্দেশ দাতা আব্দুল আজিজ ও আমিনুর রহমান দাবি করেন, জনগণসহ যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পিকুল ভাইয়ের মৌখিক নির্দেশনা পেয়েই গাছের ডাল কাটা হচ্ছে। তবে স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম মিলন গাছ ও ডাল কাটার ব্যাপারে কিছু জানেন না দাবি করে বলেন, টেন্ডার ছাড়া সরকারি গাছের পাতা পর্যন্ত কাটার নিয়ম নেই। তাছাড়া এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের কোন মিটিংও হয়নি। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মণিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান। তিনি জানান, উক্ত সড়কের জায়গা জেলা প্রশাসকের অধীন খাস খতিয়ানভুক্ত। কোনভাবেই জেলা পরিষদ এই গাছ ও ডাল কাটার নির্দেশনা দিতে পারেন না।
জানতে চাইলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বল্প সংখ্যক গাছের ডাল কাটার জন্য বলা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, টেন্ডারের মাধ্যমে দেয়া হলে সব গাছ কেটে ফেলার আশঙ্কায় এভাবে কাটা হচ্ছে। জেলা পরিষদের নির্বাহী রফিকুন্নবী জানান, ডাল কাটতে সীমা লঙ্খন করা হলে অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।