মণিরামপুরে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার অভিযোগে বুলবুল আহমেদ নামে এক যুবককে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে বিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগে
ছাত্রীর বড় ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেনকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। বুলবুল আহমেদ উপজেলার জয়পুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
বুধবার বিকেলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান এই জরিমানা করেন। এসময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার ও সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
কনের নানা আব্দুর রশিদ বলেন, সিমেন্ট বিক্রি করতে গিয়ে কোমলপুর বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় বুলবুলের। পরে আলমগীরের মাধ্যমে নাতনীকে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বুলবুল। প্রায়
এক মাস সম্পর্ক করার পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি নাতনীকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় বুলবুল। নাতনীকে ফিরে পেতে ৭ মার্চ ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।
বুলবুল বলেন, তিনি মেয়েটিকে কেশবপুরে এক কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করেন। এরপর তারা মণিরামপুর বাজারে ভাড়া বাসায় উঠেন। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান বলেন, বাল্য বিয়ের দায়ে বুলবুলকে ত্রিশ হাজার টাকা ও বিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগে কনের দুলাভাইকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুচলেকা নিয়ে কনেকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।