ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামে গ্রাম্য দলাদলির জেরে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেত সদস্য ও বর্তমান ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গুরুত্বর আহত ওই যুবক মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে মধুখালী থানায় মামলা হলেও এখন পযর্ন্ত কোন আসামী ধরা পড়েনি। আহত ওই যুবক উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান মল্লিকের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আহত আরিফ শুক্রবার (২৩ জুলাই) আনুমানিক সকাল ৯টার সময় মাঠের মধ্যে নিজ জমিতে মরিচ তুলতেছিল। এ সময় মো. সাদেকুর রহমান(৫৫) পিতা মৃত রাশেদ মল্লিক, মো. লিয়াকত আলী মল্লিক (৪৫) পিতা মৃত মজিদ মল্লিক, মো. হেলাল উদ্দীন (৪০) পিতা মৃত হাসেম মল্লিক, মো. শাহিন মল্লিক (২১) পিতা সাহাবুদ্দীন মল্লিক, বিপ্লব হোসেন (২৫) পিতা মো. জুলহাস, বিপুল মল্লিক (২৬), বুলবুল মল্লিক (২০) পিতা লিয়াকত আলী মল্লিক, মো. ফজর আলী মল্লিক (৫০)দ্বয় বাশের লাঠি লোহার রড, সাবল, ছ্যানদা, রাম দা ইদত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আরিফকে পিটিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুরুত্বর আহত ও যখম করে। এসময আরিফের কাছে থাকা মোবাইল, স্বর্ণের আংটি ও গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাহার মুল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। স্থানীয়রা আরিফকে উদ্ধার করে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে হুকুমের আসামী নিজেকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে গত শনিবার (২৪ জুলাই) মধুখালী থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৭, তারিখ ২৪/০৭/২০২১ খ্রি:। আহত আরিফ মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা কবির সর্দার বলেন তার একটি পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে অপর পায়ের অবস্থাও ভাল নয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রিফার্ড করা লাগতে পারে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ আসামীরা প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারনে তাদের গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানার উপ পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন বলেন এ ব্যবাপারে মামলা হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।