সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
মধুমতীর পরিশোধিত পানিতেও মাত্রাতিরিক্ত লবণ | চ্যানেল খুলনা

মধুমতীর পরিশোধিত পানিতেও মাত্রাতিরিক্ত লবণ

পানি নিয়ে নতুন এক দুর্যোগের মুখোমুখি খুলনার মানুষ। পুরোনো উৎপাদক নলকূপের পর এবার খুলনা ওয়াসার মেগা প্রকল্পের আওতায় সরবরাহ করা পানিতেও পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত লবণের উপস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মধুমতীর পানি পরিশোধন বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াসা। পানি সংকট নিরসনে চালু করা হয়েছে নগরীর ভেতরের সবগুলো গভীর উৎপাদক নলকূপ।

গ্রীষ্ফ্মে পানি সংকট দূর করতে এবং ভূ-গর্ভের ওপর চাপ কমাতে দুই হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনায় পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ওয়াসা। এতে অর্থায়ন করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ও এডিবি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত মধুমতী নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন করে নগরীতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। প্রকল্প শুরুর পর থেকে এত দূর থেকে পানি

এনে নগরীতে সরবরাহ করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তখন ওয়াসা জানিয়েছিল,

মধুমতী নদীর পানিতে লবণাক্ততা কম। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত লবণ পাওয়ার পর এ প্রকল্প নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮-১০ দিন ধরে নগরীর কেডিএ অ্যাভিনিউ, বাইতিপাড়া, বাবু খান রোড, পূর্ব বানিয়াখামার, নতুন বাজার ও নিরালা আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ পাওয়া যায়। এতে গৃহস্থালি কাজে এই পানির ব্যবহার নিয়ে অনেকের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব এলাকার পানি পরীক্ষা শুরু করে ওয়াসা।

ওয়াসার প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে, প্রথম দিকে গভীর উৎপাদক নলকূপে লবণের উপস্থিতি বেশি পাওয়ায় পাঁচটি উৎপাদক নলকূপ বন্ধ করে দেয় ওয়াসা। গিলাতলা এলাকায় ভৈরব নদের পানি পরিশোধন কেন্দ্রও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পানিতে লবণাক্ততা অব্যাহত থাকায় গত সোমবার মোল্লাহাটে মধুমতী নদীর পানি উত্তোলন কেন্দ্র, রূপসার পানি পরিশোধন কেন্দ্র, নগরীর ভেতরে ওয়াসার রিজার্ভার এবং বিভিন্ন এলাকার সরবরাহ করা পানি পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষার পর দেখা গেছে, মধুমতী নদীর পরিশোধিত পানিতে লবণের মাত্রা ৯৫০ পিপিএম। অর্থাৎ প্রতি লিটার পানিতে ৯৫০ মিলিগ্রাম ভাসমান লবণ রয়েছে। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী যে পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় লবণাক্ততার মাত্রা ৫০০ পিপিএম তা স্বাদু পানি হিসেবে বিবেচিত। ওয়াসা অবশ্য বলছে, সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় এই হার ১০০০ পিপিএম। তবে তথ্যে যাই থাকুক না কেন, টুটপাড়া, বানিয়াখামার ও বাবু খান রোড এলাকায় ওয়াসার পানি গত সপ্তাহে ব্যবহার উপযোগী ছিল না।

এদিকে নগরীর পুরোনো উৎপাদক নলকূপের ভূ-গর্ভস্থ পানিতেও অতিরিক্ত লবণ পাওয়া গেছে। এর মাত্রা বাবু খান সড়কের নলকূপে ৭১০ পিপিএম, সবুরুন্নেছা বিদ্যালয়ের নলকূপে ৫১০ পিপিএম। তবে নতুন পাম্পে লবণ পাওয়া গেছে অনেক কম। যেমন, এর মাত্রা লায়ন্স স্কুল পাম্পে ৮০ পিপিএম, বসুপাড়া কৃষ্ণের মোড়ের পাম্পে ৮০ পিপিএম।

খুলনা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পানি সরবরাহ প্রকল্পের পরিচালক এমডি কামাল উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, শুস্ক মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় মধুমতী নদীতে লবণের পরিমাণ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। আমাদের ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পানি জীবাণুমক্ত ও পানযোগ্য করা হয়। কিন্তু লবণাক্ততা দূর করার ব্যবস্থা নেই। এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এত বড় স্যালাইনিটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট কোথাও নেই।

তিনি জানান, এই প্রকল্পের প্রাক-সম্ভাব্যতা জরিপ হয় ২০০৭-২০০৮ সালে। তখন তারা কেউই ছিলেন না। এডিবির তত্ত্বাবধানে বিদেশের কয়েকটি ফার্ম এই জরিপ করে। তাদের জরিপে এপ্রিলে লবণের এই মাত্রা থাকার কথা ছিল না। গত এক যুগে জলবায়ুর এমন পরিবর্তন হয়েছে যে, আগের কোনো সমীক্ষাই এখন কাজে

লাগছে না। তিনি আরও জানান, এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আপাতত ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানি সরবরাহ কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। নগরীর সবগুলো উৎপাদক নলকূপ চালু করা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত উৎপাদক নলকূপের দিকেই এখন জোর দেওয়া হচ্ছে।

সুত্র- সমকাল

https://channelkhulna.tv/

বিশেষ প্রতিবেদন আরও সংবাদ

পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে ৪ গ্রাম বিলিনের পথে

২০ বছরেও শুরু হয়নি শিবসা নদী খননের কাজ: অবৈধ দখল ও গোচারণ ভুমিতে পরিণত

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলেদের সুমদ্র যাত্রা

মন্নুজান প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর ভাই, ভাতিজিরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে গড়ে তুলেছেন অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য

বিল ডাকাতিয়া পানির নীচে, মাছ চাষীদের সর্বনাশ

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।