মধ্যপ্রাচ্য থেকে মিসাইল সরাচ্ছে আমেরিকা। একইসঙ্গে কমিয়ে আনা হচ্ছে সৈন্য সংখ্যাও। আন্তর্জাতিক মঞ্চে জল্পনা উসকে শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে পেন্টাগন।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরাক, কুয়েত, জর্ডান ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’ মোতায়েন রেখেছে আমেরিকা। এছাড়া, ওই জায়গাগুলিতে ‘থাড মিসাইল সিস্টেম’ও রয়েছে। বিভিন্ন সেনঘাঁটিতে থাকা ওই হাতিয়ারগুলির চালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর সংখ্যা সেনা ও টেকনিশিয়ান রাখতে হচ্ছে আমেরিকাকে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, এবার সেই সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে আনতে চলেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
জানা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কুয়েত, ইরাক, জর্ডন ও সৌদি আরব থেকে বেশ কয়েকটি মিসাইল সিস্টেম সরিয়ে ফেলতে ‘ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড’-কে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।এই বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার জেসিকা ম্যাকনাল্টি বলেন,”কয়েকটি মিসাইল সিস্টেম অন্য দেশে মোতায়েন করা হবে। কয়েকটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা হবে। মিত্র দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এবং আমাদের কৌশলগত প্রয়োজন বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, ইরানের সংঘে সংঘাতের আবহে মিত্র দেশগুলি থেকে মিসাইল সিস্টেম কেন সরাচ্ছে আমেরিকা? এর উত্তরে বিশ্লেষকদের একাংস্য মনে করছেন, এবার ইরানের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে চাইছে ওয়াশিংটন। কারণ, চিন ও রাশিয়া এবার আমেরিকার মাথা ব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনের হাত থেকে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নিয়ে ইউরোপে নিজের অভিসন্ধি সাফ করে দিয়েছে মস্কো। একইভাবে, দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসন চালিয়ে আমেরিকাকে বিপাকে ফেলেছে বেজিং। ফলে ওই দুই দেশকে নজরে রেখেই মিসাইল মোতায়েন করতে চলেছে পেন্টাগন। তাই ইরানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্রন্টে আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষেই বাইডেন প্রশাসন।