ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুজন নেতা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে খুলনার ডুমুরিয়া বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় তৌহিদী জনতা।
শুক্রবার বিকাল৩টায় ডুমুরিয়া বাসষ্টাড চত্বরে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলে উপজেলার সর্বস্তরের প্রায় পাঁচ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম অংশ নেন।
এ সময় ‘রাসূল (সা.)-এর ভালোবাসা, আমাদের ঈমান’, ‘রাসূলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসূলের দুশমন’, ‘সবাই মিলাই হাতে হাত, মোরা রাসূলের উম্মাত’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে তারা। পরে মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা জামে মসজিদে এসে শেষ হয়।
সাজিয়াড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান আলোচক ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান,হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুল কালাম আজাদ , আব্দুল কায়ুম জমাদ্দার এস এম এম জাহাঙ্গীর আলম,মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল গাফফার আব্দুস সালাম মাওলানা ইউসুফ আলী তৌফিকুর রহমান মুফতি আবু সাঈদ আল মাহমুদ ,আব্দুল কায়ুম জমাদ্দার এস এম এম জাহাঙ্গীর আলম সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ভারতের এক টেলিভিশন বিতর্কে বিজেপির দুইজন নেতা শুধু বিশ্ব নবীকেই নয়, সারা বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মুসলিমকে আঘাত করেছে। যে নবীকে আমরা জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি তাকে ও উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য
আমরা সহ্য করতে পারি না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সা.)। যার চরিত্রের সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন।
তাকে নিয়ে কোনো কটূক্তি করা হলে মুসলমানরা ঘরে বসে থাকবে না।
এ সময় বক্তারা মহানবী (সা.)-কে অবমাননাকারী বিজিপির ওই দুই নেতা নুপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালের ফাঁসি দাবি জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিজিপি’র মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও মিডিয়া সেল প্রধান নবীন জীন্দালের কুশপুত্তলি দাহ করা হয়।
সম্প্রতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা। পরে নূপুর শর্মার ওই মন্তব্য সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি পোস্ট দেন দলটির দিল্লি শাখার মিডিয়া ইউনিটের প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল। এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার পরপরই ভারতের স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ। দেশে দেশে কোটি কোটি মুসলমানরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন।