সাতক্ষীরার তালায় ইসলামকাটি ব্রিজ সংলগ্ন ৮ গ্রামের খলিশখালি মহাশশ্মানের নামযজ্ঞ উদযাপন কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রত্রিকায় মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশিত হওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে তালা প্রেসক্লাব হলরুমে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খলিশখালি মহাশশ্মান নামযজ্ঞ উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ^নাথ আঢ্য কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকায় খলিশখালি মহাশশ্মানের উন্নয়ন কাজের ওয়ার্কাস পার্টির বাধা এমন শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের খলিশখালি মহাশশ্মান পরিচালনার জন্য প্রকৃত কোন কমিটি ছিলো না, আজও নাই। বিগত ২ বছর পূর্বে অসিত মুখার্জীকে সভাপতি ও বিশ^নাথ আঢ্যকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। যার মাধ্যমে শশ্মান মাঠে প্রতিবছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।
প্রতিবারের মত আগামী ১৪ ও ১৫ মে উক্ত শশ্মানে নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। নামযজ্ঞকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে খলিশখালি ইউনিয়নের সাবেক একজন জনপ্রতিনিধির ইন্দনে অশোক লাহিড়ী, সুনীল দে, বিধান দাশ ও কোমল দাশসহ কতিপয় জনবিছিন্ন ব্যক্তি নদী হতে দূরে অপরিকল্পিতভাবে শশ্মানের চিতা তৈরির কাজ শুরু করে।
আমরা অধিকাংশ সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদেরকে অনুরোধ করি যে, নাম যজ্ঞের পরে ৮ গ্রামের সকল হিন্দুরা মিলে পরিকল্পিতভাবে নদীর তীরে আধুনিক চিতার বেদি তৈরির কাজ করবো। তারা আমাদের এই কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেরকে অপমান করে। আমরা তখন তাদের সাথে কলহে না জড়িয়ে ও তাদের পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে হিন্দুদের বৃহত্তর স্বার্থে ধৈর্য্য ধারণ করি। সেখানে কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলো না। আমরা কিংবা কেউই চিতার বেদি তৈরির কাজে বাধা সৃৃষ্টি করিনি।
এ ঘটনার সাথে তালা- কলারোয়ার মাননীয় সাংসদ এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খলিশখালি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোল্ল্যা সাবীর হোসেনসহ ওয়ার্কাসপার্টি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন খবর রটানোর অপচেষ্টা গ্রহণ করেছে।
যাদের সাথে উক্ত চিতার বেদি তৈরি করার ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। মূলত উক্ত চক্রান্তকারিদের এই মিথ্যা অপপ্রচারের ফলে আমরা হিন্দুরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ তারা চাচ্ছে যাতে মাননীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে আমাদের হিন্দুদের দূরত্ব তৈরি হয় ও আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাধিত না হয়। একই সাথে তারা মাননীয় সংসদ সদস্য ও খলিশখালির বর্তমান চেয়ারম্যানের সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার ব্যর্থ চক্রান্ত করছে।