বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মাগুরা জেলা বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ মাইক বন্ধ করে দেয়া হলে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে ৫ জন ও ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার সকাল ১১ টায় মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ায় অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বিনা উস্কানিতে প্রধান অতিথি জয়নুল আবেদীন ফারুক এর বক্তব্য চলাকালে তার হাতে থাকা মাইক্রোফোন কেড়ে নিলে দলীয় নেতাকর্মীরা বাধা প্রদান করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে পুলিশ কে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পুলিশের লাঠিচার্জে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে শহরে মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের ভায়না এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ গিয়ে পিছন থেকে লাঠিচার্জ শুরু করে এবং ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম, ছাত্রনেতা রাকিব, লুৎফর ও মামুনকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তুলে।
সংঘর্ষে জেলা যুবদলের সভাপতি ওয়াশিকুর রহমান কল্লোল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম রানা ছাত্রদলের নেতা খায়রুল ইসলাম, ও সজীব পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয় বলে দাবি করেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলী আহাম্মদ। গুরুতর আহত যুবদলের সভাপতি ওয়াশিকুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সমাবেশ স্থল ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি জয়নুল আবেদীন ফারুক জানান, দেশব্যাপী সমাবেশ গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হলেও মাগুরা জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থাকায় মাগুরায় বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ একদিন পিছিয়ে আজ রবিবার করা হয়েছে। কিন্তু আমি যখনই বক্তব্য শুরু করি তখনই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে । এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান,বিএনপির সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি । তিনি চারজনকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন।