মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের পাকাখর্দ পুর গ্রামের একটি বাগান থেকে হেনা বেগম (৩৪) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। মৃতদেহের গলায় ফাঁসসহ শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে হেনার স্বামী মফিজুর রহমান পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে মফিজুর রহমানের মোবাইল ফোন সেটসহ আব্দুর রাজ্জাক (২৮) নামে এক নসিমন চালককে আটক করেছে পুলিশ।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জয়নাল আবেদিন জানান, রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এলাকাবাসির খবরের ভিত্তিতে গৃহবধূ হেনা বেগমের বাড়ির নিকটবর্তী একটি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় ফাঁসের দাগসহ শরীরে একাধিক ক্ষত আছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মফিজুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন। মফিজুরের ফোন সেটটি পাওয়া গেছে একই এলাকার দোড়া মতনা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (২৮) নামে এক নসিমন চালকের কাছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আটক আব্দুর রাজ্জাক ওই ফোন সেটটি কুড়িয়ে পেয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। স্বামী মফিজুরের সন্ধানসহ ঘটনার জোর তদন্ত করছে পুলিশ।
পাকা খর্দ গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ অন্যারা জানান, নিহত হেনা বেগম মফিজুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি ঝিনাইদহের অচিন্ত নগর গ্রামে। এই গ্রামেরই একটি মসজিদে ইমামতি করেন মফিজুর রহমান। হেনা বেগম দুই সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়িতেই থাকেন। পাকাখর্দ গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে ঘর নির্মাণের জন্যে কয়েক দিন ধরে সে আসা যাওয়া করছে। এরই এক পর্যায়ে আজ দুপুরে বাগানের মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়। তার মৃত দেহের কাছে বিভিন্ন তরি তরকারি ভর্তি একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। যা থেকে অনেকের ধারনা শনিবার রাতে সে ওই ব্যাগ নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসার পথে খুন হয়েছে হেনা। যেহেতু স্বামী পলাতক রয়েছে তার দ্বারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
এদিকে মফিজুর রহমানের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, মফিজুরের প্রথম স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে মাগুরার শালিখার পিপরুল গ্রামে থাকেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে মফিজুরের সাথে মিজানুরদের তেমন যোগাযোগ নেই।