মাগুরা শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা মার্কেটে রূপালী ব্যাংকের নিচতলায় দুই নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে সোমবার গভীর রাতে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় একজন নৈশ প্রহরী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করেছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানাযায়, সোমবার রাত ২টার দিকে সিদ্দিকীয়া ও ডিসি অফিস মার্কেটের নৈশ প্রহরী গফফার বিশ্বাস ও মন্নুকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে ডাকাতরা। ডাকাতদল নৈশ প্রহরী মন্নুর মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। সে বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ সময় ডাকাতদল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দেয়াল সংলগ্ন সিদ্দিকীয়া মার্কেটের নিচতলায় কামরুল ইসলামের সাইকেল পার্টস, ইজি বাইক ও ব্যাটারীর দোকানের সামনে দুটি পিকআপ ভ্যান দাঁড় করিয়ে ২৩টি তালাকেটে দোকানে ঢুকে পড়ে। তারা সিসি ক্যামেরাগুলি উল্টিয়ে রাখে। ইতিমধ্যে নৈশপ্রহরী গফফার কৌশলে বাঁধন খুলে পাশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের খবর দিলে পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলে ডাকাতরা পিকআপ ভ্যান চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান- ইতিপূর্বেও তার দোকানে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ব্যাংকের নিচতলা থেকে বারবার এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে থাকায় তারা ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন। নৈশ প্রহরী গফফার বিশ্বাস জানান- তাদের দুজনকে বেঁধে এখানে তালা কাটার সময় শহরে পুলিশের টহল গাড়ি চলছিল। তাদের চোখ এড়িয়ে কিভাবে এমন ভয়াবহ ঘটনা ডাকাতরা ঘটাতে পারলো তিনি বুঝতে পারছেন না। ভাগ্যক্রমে তিনি বাঁধন খুলতে পারায় ও পাশেই ট্রেজারির পুলিশ সদস্যরা থাকায় ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারলেন ব্যবসায়ী কামরুল। তবে মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টিকে চুরির চেষ্টা হিসেবে দাবী করে প্রথমে পিকআপ ভ্যান জব্দের বিষয়টি তিনি জানেন না বলেন। পরবর্তীতে তিনি একটি পিকআপভ্যান পুুলিশ লাইনে জব্দ আছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশের টহল গাড়ি পিকআপ ভ্যানটিকে তাড়া করে আটক করে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।