
মামলার এজাহারে জানা যায়, বিভিন্ন শাখায় চাকুরি কালীন সময়ে নিজ নামে একাউন্ট খুলে সুবিধামত সময়ে নাজমুল হক বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাৎক্ষনিক অনুসন্ধানে মাগুরা ও ঝিনাইদহ শাখা হতে পর্যায়ক্রমে সে ১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯ শত ৫৯ টাকা আত্মসাৎ করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
মাগুরা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ রেজাউল হক জানান, মাগুরা প্রধান শাখায় তিনি কর্মরত রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সে তার নিজ নামীয় একাউন্টে ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৪ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সোমবার রাতে অভিযুক্ত নাজমুল হক কে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঝিনাইদহ কৃষিব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রুবায়েৎ হাসান জানান, অভিযুক্ত নাজমুল হক ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ শাখায় একই পদে কর্মরত থাকা কালে বিভিন্ন সময়ে তার নিজ নামীয় একাউন্টে ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার ২২৫ টাকা আত্মসাৎ করেছে। অর্থ আত্মসাৎ বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তদন্ত টিম রওনা হয়েছে। অভিযুক্ত নাজমুল হকের সকল কর্মস্থলে অনুসন্ধান না করলে প্রকৃতভাবে কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব না।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, যেহেতু সরকারী অর্থ আত্মসাৎ ঘটনা ঘটেছে তাই দুদকের পরামর্শে অভিযুক্ত নাজমুল হককে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।