মাগুরায় জেলা বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে ছাত্রলীগ যুবলীগ হামলা ভাংচুর ও ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ৬টি মটরসাইকেল এবং একটি ইজিবাইকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে আজ শনিবার বেলা ৩ টার দিকে মাগুরা শহরের ভায়না মোড় এলাকায় সদর থানা ও পৌর বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচীর দিন ধার্য ছিল। এ উদ্দেশ্যে উপস্থিত নেতা কর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র ও মুহুরমুহু বোমা ফাটিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা । ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের ১২ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ শহরে মিছিল শেষে চৌরঙ্গী মোড়ে সমাবেশ করে।
ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হামিদুল ইসলাম দাবি করেন, বিএনপি পরিকল্পিত ভাবে তাদের ছেলেদের উপর হামলা করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ছাত্রলীগের ছেলেদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে জেলা বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতি, পুলিশের গুলিতে ভোলা ছাত্রদলের দুই নেতা নিহতের ঘটনায় মাগুরা জেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিল। এ সময় যুবলীগ ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্রে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালায়। একই সাথে ১০টি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বিএনপি অফিস ভাংচুর করে এবং আমাদের নেতা কর্মীদের আহত করে।
ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ জানান, শহরের ভায়না সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মুখোমুখি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় দলকে ছত্র ভংঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।